টেকনাফের হ্নীলা স্বর্ণ বিতানে দূধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে নগদ ৪লক্ষ টাকা ও ৫০ভরি স্বর্ণ চুরি হয়েছে বলে মালিকপক্ষ দাবী করছে।
জানা যায়-২৪ডিসেম্বর সকালে উপজেলার হ্নীলা ষ্টেশনের আবু বক্কর মার্কেটে স্বর্ণ বিতানের স্বত্তাধিকারী বাসুধর দোকান খুলে লোহার আলমিরা ভাঙ্গা ও দেওয়াল ফুটো করা দেখে দোকান চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে হৈ ছৈ করলে লোকজন জড়ো হয়। উক্ত স্বর্ণ দোকানের পার্শ্বে ফরিদ আলমের দর্জির দোকানে রাতযাপনকারী অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি গা ঢাকা দেওয়ায় এই স্বর্ণবিতান চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হয়। মালিকপক্ষ বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশের শরণাপন্ন হলে বিকাল ৪টায় টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান, সেকেন্ড অফিসার কাঞ্চন কান্তি দাশসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্লু উদঘাটনের চেষ্টা চালায়। ঘটনাস্থল হতে ড্রিলমেশিন ও খুন্তি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় উত্তর বঙ্গের কতিপয় পেশাদার অপরাধী মুখোশধারী কাপড় বিক্রেতা ফেরিওয়ালা সেজে নাম-পরিচয় গোপন রেখে সহজ-সরল ফরিদ আলম দর্জির দোকানে রাতযাপনের সুযোগ নেয়। মালিক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বন্ধ করে চলে যায় এবং শুক্রবার তাদের নিয়মিত বন্ধ থাকার সুযোগে চিহ্নিত অপরাধীরা উক্ত দোকানে থাকা নগদ ৪লক্ষ টাকা,শোরুম,বন্ধকী রাখা ৫০ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। যার সর্বমোট মূল্য ২৪লক্ষ টাকা। এই ঘটনার পরই দর্জি দোকানে অবস্থানকারী অজ্ঞাতনামা লোকেরা গা ঢাকা দেয়। এই ব্যাপারে মার্কেটের মালিক মুফিজুল আলম বলেন ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। রহস্য উদঘাটনে পলাতক ব্যক্তিদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
হ্নীলা বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জহির আহমদ বলেন স্বর্ণ দোকান চুরির বিষয়টি বড়ই দুঃজনক। ক্ষতিগ্রস্থ মালিকের চুরি হয়ে যাওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণ উদ্ধারে সর্বস্তরের জনতার সহায়তা দরকার।
টেকনাফ মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার কাঞ্চন কান্তি দাশ বলেন-আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। তবে মালিক পক্ষ কাউকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এর আগে হ্নীলা ষ্টেশনে একাধিকবার দোকান চুরির ঘটনা ঘটলেও কোন প্রতিকার না হওয়ায় দোকান মালিকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজমান রয়েছে বলে জানা গেছে। ###
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।