২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

টেকনাফে স্বামীর নির্যাতনে গর্ভবর্তী মহিলার মৃত্যু!

full_2028841631_1406452606
টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক গর্ভবতী মহিলার নির্মম মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে স্বামীর পরিবার পক্ষ দাবী করছে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে গিয়েই মহিলার মৃত্যু ঘটেছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে রয়েছে।
নিহত মেয়ের পরিবার জানায়,টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালীস্থ পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়ার আবু ছিদ্দিকের পুত্র উমর হাকিমের সঙ্গে স্থানীয় নাছরপাড়ার মীর আহমদের মেয়ে জানুয়ারা আক্তার (২০) পারিবারিকভাবে বিয়ের কথা পাকা হয়। নির্ধারিত দেন-মোহর দিতে না পারায় জানুয়ারাকে ধরে নিয়ে বিয়ে করে। এভাবে তাদের সংসার চলে আসছে। মাঝে-মধ্যে যৌতুকের জন্য ২ জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় ও স্বামী স্ত্রীকে মারধর করত। এভাবে চলতে চলতে জানোয়ারা ৪ মাসের অন্তস্বত্বা হয়ে পড়ে। গত ২১মার্চ রাতে দু‘জনার মধ্যে এই ধরনের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে স্বামী ক্ষুদ্ধ হয়ে স্ত্রীকে বেদম প্রহার করে। এতে গর্ভবর্তী জানুয়ারার রক্ত ক্ষরণ শুরু হয়। মেয়ের পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে উদ্ধার করতে গেলে স্বামীর বাঁধার মুখে যেতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত পুলিশের সহায়তায় মহিলাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। ২৩মার্চ সকালে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হলে যাওয়ার সময় রামু এলাকায় পৌঁছলে দুপুর দেড়টারদিকে জানুয়ারা মৃত্যু বরণ করেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদ হোছাইন মেম্বার জানুয়ারার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এই ব্যাপারে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় অভিযুক্ত স্বামীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার বড় ভাই তালেব আলী বলেন আমার ছোট ভাই ও স্ত্রীর মধ্যে ছোট-খাট বিষয় নিয়ে মত-বিরোধ, কথা কাটাকাটি ও মারধরের মতো ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশী সহায়তায় তাকে স্বাভাবিক উদ্ধার করে বাপের বাড়ি নিয়ে যায়। বিষয়টি সমাধানের জন্য মেয়ের বাবার সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করি। কিন্তু মেয়ের বাবা বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়ে মেয়ের গর্ভে থাকা সন্তান নষ্ট করতে গিয়েই রক্ত ক্ষরণে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পথে মার া যায়। তবে রাত সাড়ে ৮টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত মহিলার লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।