৩ এপ্রিল, ২০২৫ | ২০ চৈত্র, ১৪৩১ | ৪ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী   ●  উখিয়ার বরণ্য রাজনৈতিক মৌলভী আবদুল হকের ১৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী ২০ মার্চ   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার সিজন-১ এর ফল প্রকাশিত   ●  মিরসরাই প্রেসক্লাবের ইফতার ও সুধী সমাবেশ   ●  বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ভিডিও ভাইরাল, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি   ●  টেকনাফে ১০০০ জেলে পরিবারকে সহায়তা করছে কোস্ট ফাউন্ডেশন   ●  আল-নুর ইন্টান্যাশনাল মাদ্রাসা’র বই বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  টেকনাফে গহীন পাহাড়ে বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু!

টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে জবানবন্দি 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের মামলার আসামি দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যার আদালতে হাজির করা হলে গ্রেফতারকৃত  দেলু এই জবানবন্দি দেয়। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাহাড়ছড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.দস্তগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, গত ২৭ মার্চ টেকনাফের হোয়াইক্যং বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ জন কৃষককে অপহরণ করা হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এদের উদ্ধার করে। এ মামলার আসামি দেলোয়ার। বৃহস্পতিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ পাহাড়ি এলাকার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। দেলোয়ার হোসেন দেলু শীলখালী এলাকার মৃত আলী হোসেন পেটুর ছেলে।
ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি বিভিন্ন অপহরণের সঙ্গে জড়িত থেকে রোমহর্ষক বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনাসহ ঘটনার বিষয়ে নিজের সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে স্বীকার করেছেন। এ অপহরণ চক্রের পিছনে আশ্রয়দাতাসহ সিন্ডিকেটের অনেকের নাম এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণসহ ৪টি মামলা রয়েছে। আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে সে জবানবন্দি দিয়েছে।
এর আগে গত ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের পরিবারের তথ্য বলছে অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫৩ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।