টেকনাফের হোয়াইক্যং ঝিমংখালীতে রান্না ঘরের আগুনে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ১৫ বসত-বাড়ি পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতিগ্রস্থরা খোলা আকাশে নীচে রাত্রি-যাপন ছাড়া কোন উপায় খুঁেজ পাচ্ছে না।
সরেজমিনে জানাযায়, ১৩মে বিকাল ৩টারদিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী পূর্ব পাড়ার দিলদার আহমদের স্ত্রী রোকেয়া বেগম রান্না করার সময় অসাবধানতাবশত অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়ে তা মুর্হুতে দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রখর তাপ ও বাতাসের বেগে লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত মৃত শহর মুল্লুকের পুত্র আবুল মঞ্জুর, আবুল মঞ্জুরের পুত্র জালাল উদ্দিন, মোস্তাক আহমদ,মৃত পেঠান আলীর পুত্র ছৈয়দ আহমদ, বদিউর রহমানের স্ত্রী আমেনা খাতুন, ছৈয়দ আহমদের পুত্র বদি আলম,আবুল মঞ্জুরের পুত্র হেলাল উদ্দিন,বেলাল উদ্দিন, মৃত উলা মিয়ার পুত্র আবুল কালাম, জয়নাল আবেদীন, মৃত ফকির আহমদের পুত্র আব্দুল জলিল, আব্দু জলিলের পুত্র দিলদার আহমদ,আব্দুর রহিম, খাইরুল বশর ও ফরিদ আলমের বসত-বাড়ি সম্পূর্ণ পুঁেড় ছাঁই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক ৫০লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে বিজ্ঞজনেরা মনে করেন। তাৎক্ষণিক তাদের সাহায্যার্থে কেউ এগিয়ে না আসায় এই ১৫ পরিবারের প্রায় ৭০ জন সদস্যদের খোলা আকাশে রাত কাটাতে হবে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় নুর আহমদ মেম্বার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয় সচেতন মহল ক্ষতিগ্রস্থ এসব পরিবারের জন্য জরুরী ভিত্তিতে সরকারী সহায়তা কামনা করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।