টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে ভাইয়ের সাথে পরকীয়া প্রেমের সন্দেহে এক প্রবাসীর স্ত্রী ও ৩ সন্তানের জননী খুন হয়েছে। পুলিশ পোস্ট মর্টেমের জন্য লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
২ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ৭টারদিকে টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের এইচ ব্লকের এমআরসি নং-৬৩০৮৭,শেড নং-৬১৯/১ এর বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসী রহমত উল্লাহর স্ত্রী এবং ছেলে,২মেয়ের জননী রুজিনা বেগম (২৮)কে একই ব্লকের পাশ্ববর্তী এমআরসি নং-৪১৪৭৬,শেড নং-৬২৩/১ এর বাসিন্দা সোলতান আহমদের পুত্র মোঃ ইয়াছিন ও মোঃ আমিন মিলে ঝগড়া-ঝাটির জেরধরে চুরিকাঘাত করে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় ক্যাম্প হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করলে কর্তব্যরত ডাক্তার রুজিনাকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার এসআই শাফায়েত আহমদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পোস্ট মর্টেমের জন্য লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় বলে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প পরিচালনা কমিটির এসিসট্যান্ট আজিজ জানান। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়-মালয়েশিয়া প্রবাসী রহমত উল্লাহ ও সোলতান আহমদের পুত্র আবুল কাশেমের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। এরই জেরধরে রহমত উল্লাহ পরিবারের জন্য টাকা-পয়সা পাঠালে বন্ধু আবুল কাশেম ব্যাংক হতে উত্তোলন করে এনে বন্ধুর স্ত্রীর হাতে তুলে দিতেন। এই ঘটনাটি আবুল কাশেমের স্ত্রী জানতে পেরে বন্ধুর বউয়ের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ তুলে। এই বিষয় নিয়ে ক্যাম্প অভ্যন্তরে বিচার-সালিশ চলে আসছে। এসব বিষয় নিয়ে আজকে কথা কাটাকাটির জেরধরে আবুল কাশেমের দু‘ভাই ইয়াছিন ও মোঃ আমিন মিলে রুজিনাকে চুরিকাঘাতে রক্তাক্ত করে। টেকনাফ মডেল থানার এসআই শাফায়েত আহমদ নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে চুরিকাঘাত মহিলার লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য থানায় নিয়ে যায় বলে নিশ্চিত করেন। এই ব্যাপারে নৃশংস ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।