টেকনাফ প্রতিনিধি:
টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য আনোয়ারা বেগম মেম্বার ও উত্তর শীলখালী এলাকার মৃত নুরুল কবিরের স্ত্রী আলম শাইর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের বরাবরে গত ২১ ডিসেম্বর সোমবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী একই ইউনিয়নের শামলাপুর পুরান পাড়া এলাকার মমতাজ বেগম। এর আগেও ৫/৭ জন নারী উক্ত মহিলা মেম্বার আনোয়ারার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দিলেও কোন ধরনের প্রতিকার না পেয়ে বর্তমানে এই মহিলা মেম্বারের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ দিতে সাহজ পাচ্ছে না। দরিদ্র মার, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা ও ভিজিডি কর্মসূচির তালিকা প্রণয়ন ও শিশুভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি অনুদান-ভাতা থেকে বঞ্চিত প্রকৃত দুস্থ-অসহায় নারী-পুরুষরা এই আনোয়ারা মেম্বারকে দুর্নীতিবাজ অভিযুক্ত করে তার বিচার দাবি করছেন উক্ত ১,২ ও ৩ সংরক্ষিত ওয়ার্ডের জনসাধারণ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের জন্য মহিলা মেম্বার আনোয়ারা ২০১৬-২০১৭ ইং অর্থ বছরের দরিদ্র মার জন্য মাতৃত্বকাল ভাতায় নাম দিবে বলে শামলাপুর পুরান পাড়া এলাকার ছলিম উল্লাহর স্ত্রী মমতাজ বেগমের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
কিন্তু ২০১৬-২০১৭ ইং অর্থ বছরের দরিদ্র মার জন্য মাতৃত্বকাল আমার নামে ভাতার বইটি আনোয়ারা মেম্বার উত্তর শীলখালী এলাকার মৃত নুরুল কবিরের স্ত্রী আলম শাইরকে দিয়েছে। এবং দরিদ্র মার জন্য মাতৃত্বকাল বইয়ের আমার নামে থাকলেও কিন্তু মৃত নুরুল কবিরের স্ত্রী আলম শাইরের ছবি লাগিয়ে আনোয়ারা মেম্বারের যোগসাজশে টাকা উত্তোলন করে যাচ্ছে। উক্ত বিষয়টি শামলাপুর পুরান পাড়া এলাকার ছলিম উল্লাহর স্ত্রী মমতাজ বেগম উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে গিয়ে দেখে তার নামে বইটি অন্যজনের ছবি লাগিয়ে আনোয়ারা মেম্বার টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু মমতাজ বেগমের কাছ থেকে টাকার নেওয়ার অভিযোগ নই, শত শত নারী-পুরুষদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছিল। আনোয়ারা মেম্বারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে লিখিত অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে দিলেও ভুক্তভোগীরা বিচার না পেয়ে হতাশায় রয়েছে।
এ বিষয়ে বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের অভিযুক্ত মহিলা মেম্বার আনোয়ারা বেগম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেই মহিলার সাথে কোন দিন কথা বলিনি। আমার নামে ষড়যন্ত্র মেনে নেব না, চ্যানেল ৭১ টিভিতেও আমার নামে মিথ্যা অজুহাতে নিউজ করেছিল। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের তদন্তে আমি নির্দোশ প্রমানিত হয়।
এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম কাছে মমতাজ বেগমের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এই রকম অভিযোগ আমার হাতে আসেনি। যদি পায় তাহলে তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।