হুমায়ূন রশিদ,(টেকনাফ): টেকনাফে বিজিবি জওয়ানেরা পৃথক অভিযান চালিয়ে অনুপ্রবেশকালে ১৫কোটি ২৭লক্ষ টাকার ৪লক্ষ ৯৫হাজার ৮শ ৫পিস ইয়াবা বড়ি ও মুঠোফোনসহ মিয়ানমারের দুই নাগরিককে আটক করেছে।
জানা যায়,গত ২৪সেপ্টেম্বর ভোররাত সাড়ে ৩টারদিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের দমদমিয়া বিওপির হাবিলদার মোঃ লুৎফর রহমান (বিজিবিএম,পিবিজিএমএসের) নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান আসার নিজস্ব গোয়েন্দা সংবাদ পেয়ে নেচারপার্ক বরাবর নাফ নদীতে টহলে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পর একটি হস্তচালিত নৌকা বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছে। উক্ত নৌকা হতে দুই ব্যক্তি ২টি বস্তাসহ স্থলে উঠার চেষ্টা করলে বিজিবি চ্যালেঞ্জ করলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন বিজিবি টহলদল ধাওয়া করে বস্তা দুইটিসহ মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু থানার মাঙ্গালার মৃত সিরাজুল মোস্তফার পুত্র মোঃ কামাল আহম্মদ (৪৫) ও বসেদ আলীর পুত্র মোঃ ইলিয়াস (৩০)কে আটক করে। এমতাবস্থায় আরো ৪জন লোক নৌকা নিয়ে নাফনদীর শূন্যরেখা অতিক্রম করে ওপারে চলে যায়। ঘটনাস্থল হতে আটক ব্যক্তিদ্বয় এবং ইয়াবা ভর্তি ২টি বস্তা ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে গণনা করে ১৩কোটি ৭লক্ষ ৪১হাজার ৫শ টাকার ৪লক্ষ ৩৫হাজার ৮শ ৫পিস ইয়াবা বড়ি ও ২হাজার টাকা মূল্যের সিম্পুনি (মডেল-ডি-১৪০) মুঠোফোন পাওয়া যায়। নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবা রাখা এবং অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়েরের পর টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। এদিকে একদিন ভোররাত সাড়ে ৪টায় নাজিরপাড়া বিওপির হাবিলদার মোঃ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টহলদল বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ইউপিস্থ গফুর প্রজেক্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১কোটি ৮০লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৬০হাজার পিস ইয়াবা বড়ি জব্দ করে। তা পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা,মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি,স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে প্রকাশে ধ্বংস করার ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এসএম আরিফুল ইসলাম অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।