চার নারী কংগ্রেস সদস্যের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণের জেরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাস করেছে প্রতিনিধি পরিষদ। মঙ্গলবার ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত নিম্নকক্ষে প্রস্তাবটির পক্ষে ২৪০টি ভোট পড়ে। ৪ জন রিপাবলিকান সদস্যও প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। নিন্দা প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে ট্রাম্পকে অভিশংসনের প্রস্তাব করেন এক ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি। তবে বর্ণবাদের অভিযোগ অস্বীকার করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প।
গেল রোববার চার নারী কংগ্রেস সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে বলার পর থেকেই তীব্র সমালোচনার মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই ধারাবাহিকতায় তার নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার প্রতিনিধি পরিষদে একটা প্রস্তাব তোলা হয়। ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত পরিষদে খুব সহজেই পাশ হয় প্রস্তাবটি।
এসময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যোগ্য নন দাবি করে তার বিরুদ্ধে নিম্নকক্ষে অভিশংসনের প্রস্তাব করেন টেক্সাসের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি আল গ্রিন। এমনকি চলতি সপ্তাহেই তার প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির প্রস্তাব দেন তিনি। এর আগে দুইবার তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব আনলেও প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তা পাশ হয়নি। এবারও প্রস্তাবটিতে দুই দলের সমর্থন না থাকলে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তা ভোটের জন্য তুলবেন না বলে মনে করছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম।
নারী কংগ্রেস সদস্যদের নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন স্পীকার ন্যান্সি পেলোসি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য সবার জন্য অসম্মানজনক ও বর্ণবাদী বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান তার শেষ বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি আমরা আমেরিকায় প্রবেশ করতে মানুষদের বাধা দেই তাহলে বিশ্বব্যাপী আমাদের নেতৃত্ব খুব দ্রুত আমরা হারিয়ে ফেলবো। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে সেই কথার কোনো মূল্য নেই। তিনি যেভাবে ডেমোক্র্যাট সদস্যদের নিয়ে মন্তব্য করছেন তা অসম্মানজনক ও লজ্জার। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
এদিকে, ডেমোক্র্যাটরা সমালোচনায় মুখর হলেও, ট্রাম্প বর্ণবাদী নন বলে দাবি করেছেন মার্কিন সিনেট নেতা ম্যাককোনেল। এক সংবাদ সম্মেলনে, রিপাবলিকান এই সিনেটর বলেন, বিরোধীরা সবাইকে বর্ণবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করছে।
মার্কিন সিনেট নেতা ম্যাককোনেল বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বর্ণবাদী না। আমি মনে করি তাকে নিয়ে যেভাবে সমালোচনা করা হচ্ছে তা দেশের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।’
চারদিকে এমন কঠোর সমালোচনা ও নিন্দা সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, তার টুইটগুলো বর্ণবাদী নয়। এক টুইট বার্তায় নিজেও বর্ণবাদী নন বলে দাবি করেন ট্রাম্প।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।