সরকারী অফিসে হাজিরা খাতার ব্যবহার এবং হাজিরা খাতায় উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে স্বাক্ষর করার প্রক্রিয়া বহু প্রাচীন। তবে এ প্রক্রিয়ায় গত পাঁচ দশ দিনের স্বাক্ষর একদিনে করা কিংবা ঊর্ধ্বতন কোন কর্তৃপক্ষের আসার খবর আসলেই চটজলদি বিগত অস্বাক্ষরিত দিনগুলোর স্বাক্ষর করার রীতিটা বেশ সহজাত এবং সে বিষয়টিকে প্রশ্নাতীতভাবে মেনে নিতেও মোটামুটি সকলে অভ্যস্ত। মেট্রোপলিটন কিংবা বিভাগ বা জেলা বা অগ্রগামী উপজেলায় প্রতিদিন অফিসে এসেই অভ্যাসবশত বা অবহেলাবশত এক দিনেই পাঁচ-দশদিনের স্বাক্ষর করলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের উপজেলা পর্যায়ে কিন্তু একদিন এসেই গত কয়েকদিনের স্বাক্ষর করাটা বিরল নয়। প্রাইভেট অফিস হাজিরা খাতা ব্যবহারের এ রীতি প্রত্যাখ্যান করেছে বহু আগেই। অনেক দেরীতে হলেও সরকারী অফিসগুলো বিশেষ করে চলমান জনবান্ধব ভূমি অফিস নির্মাণ প্রক্রিয়ায় ভূমি অফিসগুলো বিদ্যমান হাজিরা খাতা পদ্ধতির পাশাপাশি ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতির প্রর্বতন করতে শুরু করেছে।
কোতয়ালী রাজ্স্ব সার্কেল ঢাকার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম মাহফুজুর রহমান কক্সবাজারসময়কে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপন করা হয়েছে যেখানে অফিসের প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে প্রতিদিন অফিসে উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন। সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রত্যেকের প্রতিদিনকার এ হাজিরা দৈনিক কিংবা মাসিক ভিত্তিতে মনিটরিং করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়াকে টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী করতে প্রথমে দিনের উপস্থিতি দিনে নিশ্চিতকরণের উপর জোর দেয়া হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ার সফল বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে অফিসের প্রত্যেকের প্রতিদিনকার হাজিরা প্রতিদিনে নিশ্চিত করে অফিসে আগমনের সময়ের উপর নজরদারি জোরদার করার মধ্য দিয়ে একটি টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।