এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): পর্যটন নগরী কক্সবাজারের হয়ে ইউটিউবে প্রতিনিধিত্ব করছে চকরিয়ার সন্তান ইরশাদুল গণি শাকিব। সে চকরিয়ার উপজেলার ডুলাজাহারা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ইউনিয়নের মালুমঘাট ডুমখালীর গ্রামের বাসিন্দা সিনিয়র সাংবাদিক রুস্তম গণি মাহমুদের ছেলে শাকিব। চলতিবছর ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয় তাঁর ইউটিউবে পদার্পণ। ইউটিউব কিং তৌহিদ আফ্রিদিকে দেখেই সে অনুপ্রাণিত হন। শাকিব তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তার ইউটিউব চ্যানেলের নাম ‘
ফানি ভিডিও এবং শটফিল্মের প্রতি তাঁর বিশেষ আগ্রহ। মাত্র ১৪টি ভিডিও আপলোড হলেও হাজারো ভক্তের ভালবাসায় ইতমধ্যে তার চ্যানেলে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার পূর্ণ হয়েছে। এছাড়াও ঠরহবং চ্যানেলের মধ্যে ঢাকার বাহিরে এই প্রথম এক হাজার সাবস্ক্রাইব পূণ হলো শাকিবের। তারঁ প্রিয় শখ ইউটিউবিং। এটিকে পেশা হিসেবেও নেয়ার কথা ভাবছে শাকিব। অন্যদিকে সে ক্রিকেট খেলতে ও দেখতে ভালবাসেন। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে ইউটিউব চ্যানেলকে তুলে ধরা বিশেষ উদ্দেশ্য তাঁর। এ সফলতার জন্যে সে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিশেষত তার বাবা সাংবাদিক রুস্তম গণি মাহমুদ, তাঁর বড় ভাই ভিডিও আইডিয়া দাতা ইকরামুল গণি রাকিব এবং কাছের বন্ধু শিমসন বারৈ এর প্রতি।
শাকিব জানালেন, একজন ইউটিবার হিসেবে স্বপ্ন পূরণের যাত্রিক হওয়ার পেছনে সর্বপ্রথম বাবা সাংবাদিক রুস্তম গণি মাহমুদ এর কাছ থেকে সাপোর্ট দেন। পরে গর্ভধারিনী মা শিক্ষিকা শাহনাজ পারভীন’র অগাধ দোয়া নিয়ে তার এতটুকু পথচলা। এর পেছনে আরো একজনের কথা জানালেন শাকিব। বাংলাদেশের সেরা একজন ইউটিউব স্টার তৌহিদ আফ্রিদি অবদান আজীবন চিরস্মরনীয় করে রেখেছি।
প্রসংগত, তাঁর যখন মাত্র ১০২ জন সাবস্ক্রাইবার তখন সে বিভিন্ন কারণে হতাশায় ভোগে এক পর্যায়ে ইউটিউব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তাঁর ভগ্নিপতি তারেক হোসেনের ডিএসএলআর ক্যামেরা উপহার, ভক্তদের সাপোর্ট ও ভালবাসা তাকে আরো বেশি অনুপ্রাণিত করে। এছাড়াও তার বড় ভাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র ইকরামুল গনি রাকিব নিজ অর্থায়নে শাকিবের ফেন পেইজ বুস্ট করেছিলেন “শিমশন বাড়ৈ”। সেই থেকে শাকিবকে আর ফিওে থাকাতে হয়নি। নেট, ওয়াইফাই নেই, ইলেক্ট্রিসিটি সমস্যা, পিসিটাও আছে নেই অবস্থা। তারপরও শাকিব থেমে নেই, ভালো ভিডিও দিয়ে সকলকে আনন্দদানের প্রচেষ্টায় অব্যাহত রেখেছে।
অজো পাড়া গা থেকে ইউটিউবার হওয়ার স্বপ্নের কথা! জানতে চাইলে শাকিব বলেন, তথ্য প্রযুক্তির উন্নতি না হলে এ গাও গ্রাম থেকে ইউটিউবার হতে পারতাম না। তা হয়েছে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের বদৌলতে । আজ তথ্য-প্রযুক্তিতে উন্নতি সাধন হয়েছে বলেই অজো পাড়া গায়ের ছেলেরাও পিছিয়ে নেই। তাই সরকারকে ধন্যবাদ জানান শাকিব। বিশ্বের বুকে কক্সবাজারের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার লক্ষ্যে শাকিব সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।