রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন ধর্ষক মজনুকে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মিডিয়া সেন্টারে হাজির করেছে র্যাব।
আজ রবিবার বেলা দেড়টার সময় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এ বিষয়ে র্যাবের ব্রিফিং হবে তা আগেই জানানো হয়েছিল। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে ব্রিফিংয়ে কিছুটা দেরি হয়।
ব্রিফিংয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেছেন, ধর্ষক মজনুর স্ত্রী মারা যাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হযে যায়। ঢাকায় এসে সে প্রতিবন্ধী ও নারী ভিক্ষুকদের ধর্ষণ করতো বলে জিজ্ঞাসাবাদে আমাদের জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘১২ বছর আগে ট্রেন থেকে পড়ে তার দুটি দাঁত ভেঙে যায়। তার বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়ায়। তার বাবার নাম মৃত মাহফুজুর রহমান। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর দেওয়া বক্তব্য ও আমাদের তদন্তে মজনুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তার করা হয় মঙ্গলবার দিনগত রাতে।’
ওই ছাত্রী ওইদিন ভুল করে কুর্মিটোলা বাসস্টপেজের কাছে ভুল করে নেমে যান। এরপর মজনু তাকে ফলো করে এবং তার ওপর নির্যাতন চালায়।’
এছাড়া ব্রিফিংয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে আটক করা মজনুর কাছ থেকে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন আলামত উপস্থাপন করা হয়।
এর আগে ওই ছাত্রী ছবি দেখে মজনুকে শনাক্ত করেছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, আটক মজনু মূলত ভবঘুরে হলেও হকারের কাজ করত সে। বিমানবন্দর রেল স্টেশনের বগিতে থাকত সে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির কাছ থেকে ছাত্রীর মোবাইল ফোনসহ মালামাল উদ্ধার করে র্যাব।
এর আগে বুধবার সকালে সন্দেহভাজন ধর্ষককে আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে ঢাবির বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে রাস্তার পাশে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।