নিজস্ব প্রতিবেদক:
নানা কালাকানুন করে অতীতেও সাংবাদিকদের কলম দাবিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। যেসব প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির শীর্ষে, সেসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য ধামাচাপা দিতেই এই পরিকাঠামো জারি করা হয়েছে। গতকাল বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি জারি করা ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’বিষয়ক প্রজ্ঞাপন সরকারের দুরভিসন্ধি এবং গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের নতুন হাতিয়ার বলে মনে করছেন সাংবাদিক নেতারা। তাঁরা বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৫ ধারার দোহাই দিয়ে জারি করা তথ্য পরিকাঠামো পরিপত্র সাংবাদিক সমাজ এটা প্রত্যাখ্যান করছে। ১৫ ধারায় পুরো প্রতিষ্ঠানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’ ঘোষণার সুযোগ নেই। অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে অনতিবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব ‘কালাকানুন’ বাতিল করতে হবে।
নিত্যপণ্যর মুল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুৎর লোডশেডিংয়ে দিশেহারা মানুষ আজ এমতাবস্থায় এ তথ্য পরিকাঠামো গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের নতুন হাতিয়ার বলে সাংবাদিকরা নেতারা বলেন।
তথ্য পরিকাঠামো গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের নতুন হাতিয়ার
‘সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম নিপীড়নে ২৯ প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অব কাঠামো ঘোষণা ও প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধনের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার।
কক্সবাজার পৌরসভার সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ জেইউসির সভাপতি জিএএম আশেকুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাফরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম ও মমতাজ উদ্দিন বাহারী, সহ সভাপতি এম আর মাহবুব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক হিমছড়ির সম্পাদক হাসানুর রশিদ, সাবেক অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসিম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন সিকদার, সিনিয়র সাংবাদিক এড. আবু সিদ্দিক ওসমানী, নুরুল হক চকোরী ও আতিকুর রহমান মানিক।
অন্যন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক
কামাল হোসেন আজাদ, আবদুল মতিন চৌধুরী, গোলাম আজম খান, এম,বেদারুল আলম, আবদুল্লাহ নয়ন, জসিম উদদীন ছিদ্দিকী, রুহুল কাদের বাবুল, এএইচ সেলিম উল্লাহ, আজিজ রাসেল, ইসলাম মাহমুদ, নুরুল আমিন হেলালি, মাহবুবুর রহমান, জিয়াবুল করিম, কায়সারুল ইসলাম, মহি উদ্দিন মাহিসহ অন্যন্যারা।
সাংবাদিক নেতারা আরো বলেন, দুর্নীতি চাপা দেওয়ার জন্য তথ্য পরিকাঠামো জারি করা হয়েছে। আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারায় বহু সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অনেক সংবাদপত্র বন্ধ করা হয়েছিল।
সরকার বলেছিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিক গ্রেপ্তার হবে না। কিন্তু সাংবাদিকেরাই সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।