নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ ও নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তাবলীগ জামায়াতের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। তাবলীগ জামাতের সাদ পন্থী সমর্থক ও মাওলানা জুবায়ের পন্থী সমর্থকদের মধ্য ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় স্থানীয় একটি মসজিদেও ভাঙচুর চালানো হয়। এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত দশজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মাগরিবের নামাজের পর উপজেলার তারাবো এলাকার মারকাজ মসজিদে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় মসজিদের চারপাশের জানালার কাঁচ সহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তাবলীগ জামায়াতের আমির মাওলানা জুবায়ের পন্থী ও মাওলানা সাদ পন্থী দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আমির কে হবেন, কার নেতৃত্বে তাবলীগ জামায়াত চলবে এ নিয়ে মতবিরোধ ও দ্বন্দ্ব চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পর জুবায়ের পন্থী স্থানীয় নেতা জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে মারকাজ মসজিদ সংলগ্ন একটি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও সাদ পন্থী গ্রুপের নেতা আব্দুল কাইয়ুম এর সঙ্গে মতবিরোধ নিয়ে প্রথমে তর্কাতর্কি পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের উপর লাঠিসোটা ইটপাটকেল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। হামলায় মারকাজ মসজিদের চারপাশের জানালার কাঁচ ও মসজিদের বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়। পরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, তাবলীগ জামায়াতের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও মসজিদে ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনার ব্যাপারে কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ বা মামলা দায়ের করেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলে জানা তিনি।
সূত্রঃ সময় টিভি
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।