দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার সমিতি বাজারে সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত। একের পর এক সন্ত্রাসী গ্র“প চালিয়ে যাচ্ছে হত্যা, ধর্ষন, অপহরণের মত মারাত্মক অপরাধ কর্মকান্ড। নিয়মিত চাঁদা না দিলে কোন নতুন ঘর বাড়ি নির্মিত হয় না ওই এলাকায়। বিভিন্ন বাহিনীর বিভিন্ন প্রধান রয়েছেন তার মধ্যে হাসনাত, রকি ও সৌরভের নেতৃত্বে শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক এলাকার মুরুব্বিরা জানান, সাবেক এক মেম্বারের নেতৃত্বে চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন মারাত্মক সশস্ত্র ডাকাতি ছিনতাই। তারা জানান, সাবেক ওই মেম্বার সরকার দলীয় লোক পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসীদের দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা ও অব্যাহত রেখেছেন বলে জানায়। সম্প্রতি শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী রশিদ মিস্ত্রির ছেলে আবুল কালাম, সিরাজ ড্রাইভারের ছেলে সাগরসহ ৫০ জনের অধিক দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ায় ইয়াবা ব্যবসায়ী রয়েছে। সাথে তারা বৈদ্যঘোনা, টেকনাইফ্যা পাহাড়, লাইট হাউজ পাড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সমিতি বাজারে এনে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে পাহাড়ের ভিতরে ঘাটি করার খবর নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় কয়েকজন মুরব্বী। মাগরিবের পরে আতংকে কোন মানুষ রাস্তায় বের হতে সাহস করছেনা। রকি গ্রেফতার হলে তার বাহিনীরা সক্রিয়। হাফেজ আহম্মদের ছেলে রফিকের কাছে রয়েছে ১০/১২টি অবৈধ অস্ত্র। রকি ও রফিক বর্তমানে জেলে। তারা জেলে গেলে এলাকায় ফিরে আসে ধলুসহ ৫ হত্যা মামলার পলাতক সন্ত্রাসী মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে হাসনাত। তার দলবল নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ায় এশার নামাজের পরে সশস্ত্র দলবল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যান। গত ২৩ মার্চ রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ৫ রাউন্ড গুলি করলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ, র্যাব যৌথ অভিযানে রাত ১২টা ৭ মিনিটে উপস্থিত হলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা নিরাপদ পাহাড়ী এলাকায় ডুকে পড়ে। পুলিশের ২ জন এসআই কল্লোল, এসআই আব্দুল খালেক এবং র্যাবের এএসপি ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী হাসনাত বাহিনী উপর্যপুরী গুলি করে বলে বর্ণনা দেন। র্যাবের এএসপি সাবেক শহিদুল্লাহ মেম্বার মুখোষধারী ইয়াবা ও ডাকাতদের ডনকে হাসনাতকে দেখাইয়া দেওয়ার কড়া নির্দেশ দিয়ে আসেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।