২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

দারিদ্র্য নিরসনে বিশেষ গুরুত্ব রাখতে পারে জাকাত

দারিদ্র্য নিরসনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে জাকাত। সঠিকভাবে জাকাত আদায় এবং এর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই দারিদ্র্য কমানো সম্ভব।

শনিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে দারিদ্র্য বিমোচনে ‘জাকাতের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনায় এসব কথা বলা হয়েছে। সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্টের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুর রউফ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ।

প্রধান বক্তা এবং জীবিকা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপন করেন পিপিআরসির নির্বাহী পরিচালক ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। বক্তৃতা করেন সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম।

প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট দারিদ্র্য বিমোচনে জাকাতভিত্তিক জীবিকা নামে একটি টেকসই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। একে খান গ্র“পের আর্থিক সহায়তায় এবং জাকাত ফাউন্ডেশনের পরিচালনায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে ২০১১ সালে ৪৫০টি হতদরিদ্র পরিবার নিয়ে জীবিকা প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। উপকারভোগীদের মাঝে একটি ঘূর্ণায়মান তহবিল গঠন করে নানা আয়বর্ধণমূলক কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।

পরে এ প্রকল্পের ফলাফলে দেখা যায়, ২০১১ সালে একজন উপকারভোগীকে ২০ হাজার টাকা পুঁজি দেয়া হয়। সেটি বেড়ে ২০১৪ সালে হয় ২৫ হাজার ২৮৯ টাকা এবং ২০১৭ সালে এসে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৫ হাজার ৮৬৯ টাকা। এছাড়া ২০১১ সালে উপকারভোগীর মসিক আয় ছিল ৮ হাজার টাকা।

সেটি বেড়ে ২০১৭ সালে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪১২ টাকায়। ফলাফলে বলা হয়েছে, আগে এনজিও থেকে ঋণ নেয়ার হার ছিল ৭৪ দশমিক ৩ শতাংশ, সেটি কমে ২০১৭ সালে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ, আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে ২০১১ সালে ঋণ নিত ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ, সেটি কমে ২০১৭ সালে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ১ শতাংশ। এভাবে তাদের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, জাকাত ফান্ড কোনো স্বাভাবিক ফান্ড নয়, তাই এটি ব্যবহারে যাতে দুর্নীতি না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

মির্র্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, জাকাত দারিদ্র্য বিমোচনে একটি অন্যতম পদ্ধতি হতে পারে। জাকাতের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সংস্থা সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্টের কার্যক্রম জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দারিদ্র্য নিরসনের হার কমেছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।