২০১৩ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস থেকে নেইমারকে দলে ভেড়াতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিল তার ক্লাব বার্সেলোনা। দলবদল ফি গোপন করায় ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। সেই সঙ্গে ক্ষতি হয় নেইমারের পেছনে অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান ডিআইএস’র। এমন অভিযোগে নেইমার ও বার্সেলোনার বিপক্ষে আইনিভাবে লড়ছে সান্তোস ও ডিআইএস।
ব্যবসায়িক দুর্নীতি এবং প্রতারণার অভিযোগে নেইমারকে আবারও আদালতে হাজির হতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার স্প্যানিশ জাতীয় আদালত এমন আদেশ দিয়েছে। তার সঙ্গে বার্সা সভাপাতি হোসে মারিয়া বার্তেমেউ এবং সান্দ্রো রোসেলকেও আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
নেইমারের ক্লাব বার্সেলোনা ট্রান্সফার নিয়ে লুকোচুরির অভিযোগ অস্বীকার করলেও তা মানতে রাজি নয় সান্তোস। সেই সঙ্গে পিছু হাঁটছে না ডিআইএস। ব্রাজিলিয়ান প্রতিষ্ঠান ডিআইএস এর নেইমারের ট্রান্সফারের ৪০ শতাংশ পাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু কাতালান ক্লাবটি টান্সফার গোপন করায় তারা প্রাপ্য অংশ থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ট্রান্সফার জালিয়তি নিয়ে মামলার কৌসুলিরা নেইমারের দুই বছরের জেল চাইছেন। তবে প্রথমবারের মতো অপরাধী হওয়ায় স্প্যানিশ পদ্ধতিতে নেইমারের এমন শাস্তি সম্ভব না বলে মনে করছেন অনেকেই। দুই বছরের জেলের সঙ্গে এবার নেইমারের পরিবারের কাছ থেকে ১০ মিলিয়ান ইউরো ক্ষতিপূরণ চাইছে ডিআইএস।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।