বিশেষ প্রতিবেদকঃ কক্সবাজারের রামু ও উখিয়ার সিএনজি চালক সমিতির অভ্যন্তরিণ দ্বন্ধের জের ধরে প্রহারে এক শ্রমিক নেতা খুন হয়েছেন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের মরিচ্যা বাজার এলাকায় প্রহারের ঘটনা ঘটে। আহত শ্রমিক নেতাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে রাত ১২টার দিকে মারাযান। মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর রাত ১১টার পর থেকে টেকনাফ সড়ক টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে এবং সিএনজি দিয়ে অবরোধ করে খেছে মোটরযান শ্রমিকরা।
নিহতের নাম মো. শাহ আলম ড্রাইভার (৪০)। তিনি খুনিয়ারপালং পূর্ব ধেছুয়ার বানিয়ার দোকান এলাকার ঠান্ডা মিয়ার ছেলে ও মরিচ্যা-খুনিয়াপালং ফোরস্ট্রোক সিএনজি চালক ও টমটম মালিক শ্রমিক কল্যান সমবায় সমিতির ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।
শাহ আলম ড্রাইভারকে প্রহারকারির নাম মো. আলমগীর। তিনি ব্যবসায়ী ও হলদিয়া ইউনিয়নের মনজুর মেম্বারের আত্মীয় বলে জানিয়েছেন শ্রমিকনেতারা।
মরিচ্যা-খুনিয়াপালং ফোরস্ট্রোক সিএনজি চালক ও টমটম মালিক শ্রমিক কল্যান সমবায় সমিতির সভাপতি মো. হাসেম জানান, তাদের সমিতির কোন গাড়ি রামু স্টেশন কিংবা অন্য মোকামে ভাড়া নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে অন্য কোথায় যাওয়ার জন্য যাত্রি তুলতে পারে না। কিন্তু রামু সিএনজি চালক সমিতির গাড়ি মরিচ্যা-খুনিয়াপালং বা অন্য মোকামে যাত্রি নিয়ে গিয়ে নামিয়ে সেখান থেকে অন্যযাত্রি নিয়ে সব জায়গায় যায়। এসব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকমাস ধরে তাদের দু’সংগঠনের মাঝে ¯স্নায়ুযুদ্ধ চলে আসছে। এরই জের ধরে শুক্রবার রামু সিএনজি চালক সমিতির নেতারা মরিচ্যা-খুনিয়াপালং সমিতির বেশ কয়েকটা সিএনজি রামুতে আটকে রাখে। খবর পেয়ে মরিচ্যা এলাকায় আসা রামু সমিতির কয়েকটি গাড়ি আটকে দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মরিচ্যা বাজার এলাকায় রামুর একটি সিএনজি যাত্রি নিয়ে এলে খবর পেয়ে মরিচ্যা-খুনিয়াপালং সমিতির নেতারা তা আটকাতে যায়। তখন ঐ সিএনজি চালকের পক্ষ হয়ে শ্রমিকদের সাথে কথা কাটাকাটি করছিলেন যাত্রি হয়ে আসা তরকারি ব্যবসায়ী আলমগীর। সংগঠনের নেতা হিসেবে সেখানে যান ড্রাইভার শাহ আলম। তিনি তর্ক থামাতে মাঝ খানে দাঁড়ালে যাত্রি আলমগীর হাতে থাকা তরকারি পরিবহণের কাঠ দিয়ে তাকে আঘাত করে। স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় প্রহারের পরও তিনি চলে যান। ঘটনায় গুরুতর আহত শাহ আলমকে স্থানীয় কোটবাজার হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি রাত ১২ টার দিকে মারা যান।
তিনি আরো জানান, শাহ আলমের মৃত্যুর খবর সহকর্মীদের মাঝে গেলে তারা উত্তেজিত হয়ে টেকনাফ সড়কের মরিচ্যা ও কোটবাজার এলাকায় ব্যারিকেট দিয়ে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে দেয়।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মকসুদ আলমের নেতৃত্বে পুলিশ টীম ঘটনাস্থলে গেছে। সেখানে এসেছেন খুনিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।