২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

দেশব্যাপী চালু হচ্ছে ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা

সর্বশেষ জরিপে প্রণীত মৌজাম্যাপ ও খতিয়ানের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের অবশিষ্ট ৫৫টি জেলার সব উপজেলা/ সিটি সার্কেলের ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি (ডিএলএমএস) চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের এমপি সোহরাব উদ্দিনের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, সিএস (ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে), এস এ (স্টেট একুইজিশন) ও আর এস (রিভিশনাল সার্ভে) জরিপে প্রণীত বিদ্যমান মৌজাম্যাপ ও খতিয়ান সম্বলিত ডিজিটাল ভূমি তথ্য ব্যবস্থা (ডিএলআইএস) প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে সম্পূর্ণ জিওবি অর্থে ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ, রেকর্ড প্রণয়ন ও সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি বলেন, এটুআই প্রদত্ত ১ম সফটওয়ারের মাধ্যমে ৫২টি জেলার ৪৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৮টি খতিয়ান এবং  এবং ইএল আর এস সফটওয়ারের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলায় চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ২৭ লাখ ৯৬ হাজার খতিয়ান এন্ট্রি হয়েছে। এছাড়া এটুআই  প্রস্তুতকৃত নতুন সফটওয়ারের (ডিআরআর) মাধ্যমে ৫৫ জেলায় ৬৪ লাখ ৩ হাজার ৪৮০ টি খতিয়ানের ডাটা এন্ট্রি করা হয়েছে। তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে এ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৩৫ লাখ ২২ হাজার ৫১৮টি খতিয়ানের ডাটা এন্ট্রি হয়েছে এবং এ প্রকল্পের আওতায় ৬৫ লাখ খতিয়ান স্ক্যান সম্পন্ন হয়েছে এবং ৬৫ লাখ খতিয়ান ইনডেক্সিন করা হয়েছে।

দাবি প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত, অর্পিত সম্পত্তি সরকারি সম্পত্তি :
নুরুল ইসলাম ওমরের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী জানান, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন, ২০০১ এর ধারা ২৬ এর বিধান অনুযায়ী অ-দাবিকৃত অর্পিত সম্পত্তি বা আপিলে কাহারো দাবি প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত অর্পিত সম্পত্তি সরকারি সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, এসব সম্পত্তি সরকার বিক্রয় বা অন্য কোনভাবে হন্তান্তর বা ব্যবহার বা নিষ্পত্তি করতে পারবে। এতদপ্রেক্ষিতে এই ধারা অনুযায়ী প্রাপ্ত সরকারি সম্পত্তি স্থায়ী বন্দোবস্তসহ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষে ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যাপণ আইন অনুযায়ী প্রাপ্ত সরকারি সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও ইজারা বিধিমালা, ২০১৫’ নামে একটি খসড়া বিধিমালা প্রস্তুত করে ভেটিং এর জন্য লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো প্রত্যাপর্ণের কার্যক্রম চলমান/বিদ্যমান আছে বিধায় এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যাপণ আইনের সংশোধনের লক্ষে একটি প্রস্তাব বিবেচনাধীন আছে বিধায় এর ভেটিং এখনো পাওয়া যায়নি। সেকারণে উক্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় পর এ বিষয়ে পুনরায় পরিকল্পণা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।