রামুতে ইসলামী সম্মেলন পরিষদের উদ্যোগে ২দিন ব্যাপী ঐতিহাসিক ইসলামী সম্মেলনের প্রথম দিনে প্রধান অতিথি ইসলামী চিন্তাবিদ আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেছেন, দেশের খোদা ভীরু নেতৃত্ব না থাকার কারনে মহা সংকট চলছে। রাজনৈতিক হানাহানি রক্তপাতের কারনে সুষ্ট রাজনৈতিক চর্চা দুরহ হয়ে পড়েছে। আমরা শান্তিপ্রিয় নাগরিক। দেশের শান্তির জন্য রাজনৈতিক স্থায়ী সমাধানে উভয় পক্ষকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। দেশের বর্তমান বিরাজমান সহিংস পরিস্থিতির সমাধান না হলে বিদেশী আগ্রাসী আদিপত্যবাদী শক্তির কাছে রাজনীতিবীদরা পরাজিত হবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। যারা ইসালাম অনুসরণ করে চলে তারা সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, র্দুনীতি রাষ্ট্র জনগনের সম্পদ বিনষ্ট করে না। দেশে রাজনীতির নামে হত্যা, খুন, ঘুম, এটা দেশর জন্য অসহনীয় সংকেত। এ অবস্থা বেশীদিন চলতে থাকলে হানাহানি সন্ত্রাস, সংঘর্ষ শহর থেকে গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে পড়বে।
গতকাল ১৩ মার্চ শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকা হতে রামু হাই স্কুল ষ্টেডিয়ামে দুই দিন ব্যাপী ইসলামী সম্মেলন পরিষদ রামুর উদ্যোগে আয়োজিত ঐতিহাসিক ইসলামী সম্মেলন মৌলানা আমান উল্লাহ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছাবের আহমদ ও মৌলানা ফিরোজ আহমদের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.মোহাম্মদ হোসেনের সঞ্চলনায় আমন্ত্রিত ওলামায়েকেরাম গণের মধ্যে তাশরিফ আনেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের প্রভাষক মাওলানা মুফ্তি হুমায়ুন কবির খালভী, জোয়ারিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল্লাহ সাহেব, রামু কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হাফেজ শামসুল হক, মাওলানা হাফেজ ছৈয়দ উল্লাহ ফারুকী প্রমূখ।
প্রধান অতিথি আজিজুল হক ইসলামাবাদী আরও বলেন, বাংলাদেশে ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের শান্তি বিরাজমান । যা পৃথিবীর কোথাও নজির নেই। বর্তমান দেশব্যাপী সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের সাথে নায়েবে রাসুল ওলামায়েকেরাম, কওমী মাদ্রাসার ছাত্র/শিক্ষকবৃন্দকে জড়িয়ে মিথ্যা যে কল্প কাহিনী ছড়ানো হচ্ছে তা আর্ন্তজাতিক ইহুদি খ্রীষ্টানদের যড়ষন্ত্রের অংশ বলে মনে করি। যে দেশে র্দূনীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আইন আছে কিন্তু আইনের নিয়ম তারাই ভেঙ্গে সন্ত্রাস ও র্দূনীতির সাথে জড়িত হচ্ছে। দেশ প্রেম ঈমানের অঙ্গ। এ শিক্ষা ইসলামই শিখিয়েছে। জাতীয় নেতৃত্বের নিকট প্রকৃত দেশ প্রেম নেই বলে দেশের সম্পদ বিদেশে প্রচার করা হচ্ছে । রাজনীতিবীদরা মহান আল্লাহর প্রভুত্বকে স্বীকার না করে বিদেশীদের প্রভু বানানো প্রতিযোগিতায় নেমেছে। সুতরাং দেশ প্রেমিক ঈমানদার নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অশোভ শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় আদর্শ ও নৈতিকতা শিক্ষার সিলেবাস না থাকায় শিক্ষার্থীদের মাঝে নাস্তিক্যবাদী ধ্যান ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে। মহান আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস না থাকার ফলে সাংবিধানিক ভাবে আমরা সত্যিকার মুসলমান হিসাবে পরিচয় দিতে পারছি না। তা বৃহত্তর মুসলিম দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের জন্য খুবই লজ্জা জনক। নাস্তিক্যবাদের বিরুদ্ধে মৃত্যু দন্ডের বিধান রেখে আইন না হওয়ার ফলে কতিপয় মন্ত্রীরা আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে কথা বলার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। যে সব মন্ত্রী আল্লাহর দেয়া হারাম বিধান সুদকে হালাল বলে, ফরজ বিধান পর্দাকে কটাক্ষ করে এরা নাস্তিক ও মুরতাদদের দোসর । এদের মন্ত্রিসভা হতে বহিস্কার করতে হবে।
বিশেষ অতিথি মুফ্তি হুমায়ন কবির খালভী বলেন, সুষ্ট অর্থনীতির অভিশাপ বর্তমান বিশ্বে সুদের সয়লাভ হওয়ার কারনে আল্লাহর গজব নেমে এসেছে । তাই বিশ্বের খবরের পাতা উল্টালেই দেখা যায় অর্থনীতির মন্দা প্রভাব। হাজার কোটি টাকার অর্থ কেলেংকারীর ঘটনা জন্ম হচ্ছে তা এক মাত্র সুদের কারনে। তাই যদি বিশ্ব অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চাই অবশ্যই ইসলামী অর্থনীতি তথা সুদ বিহীন অর্থনীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। তার বিপরিতে যাকাত ব্যবস্থার মাধ্যমে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দারিদ্রতা দূরবিত হয়। ইসলামী অর্থনীতির মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি আসতে পারে। নতুবা আমাদের সুদের অভিশাপে পড়ে ধবংসের পথে চলে যেতে হবে। আজ ১৪ মার্চ শনিবার সম্মেলনের সম্মেলনের শেষ দিন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।