ইন্টারনেট ব্যবহারের দিক থেকে বাংলাদেশ সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অনেক এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের ৪২ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন কাজে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে থাকেন।
এশিয়ার অনেক ক্ষমতাধর দেশকে টপকে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৭.২৪৫ মিলিয়ন, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৪১.৫২ শতাংশ।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্য ৪৬ কোটি, যা ওই দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৪.৮৩ শতাংশ। শ্রীলংকায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ৬০.৮৭ লাখ, যা মোট জনসংখার ২৯.৩০ শতাংশ এবং পাকিস্তানে মোট জনসংখ্যার ১৭.৮১ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সময়োপযোগী বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে গত নয় বছরে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ২.৬৭ শতাংশ থেকে ৪১.৫২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ছিলো ২.৬৭ শতাংশ, যা ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দাঁড়ায় ৪১.৫২ শতাংশ।
সূত্র জানায়, এ বছরও সরকার তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ৩ হাজার ৯৭৪ কেটি টাকা তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগের জন্য বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। যা ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের সংশোধীত বাজেটের তুলনায় ২ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা বেশী।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, প্রায় ১৮ হাজার ৫’শ সরকারি অফিসকে একই নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং সাবমেরিন ক্যাবলস এর সক্ষমতা ৪৪ জিবিপিএস (প্রতি সেকেন্ডে গিগাবাইট) থেকে ২০০ জিবিপিএস এ উন্নীত করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে, স্বল্প মূল্যে দ্রুতগতি সম্পন্ন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে সকল সরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ইউনিয়ন পরিষদসহ সারা দেশকে শতভাগ থ্রি-জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে ও ২০২০ সালের মধ্যে ফোর-জি চালু করতে সরকার ব্যপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
সূত্র- জাগোনিউজ
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।