মিয়ানমার থেকে ফিরিয়ে আনা প্রাপ্ত বয়স্ক ১২২ জনকে নিজের জিম্মায় ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসাইন।
মিয়ানমার থেকে ফিরিয়ে আনা ১৫০ জনের মধ্যে শনাক্ত দালাল হামিদ হোসেনকে প্রধান আসামী করে ২০ দালালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার হওয়া চকরিয়ার এক অভিবাসী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসাইন জানান, ১৫০ জনের মধ্যে একজন দালালসহ দু’জন রোহিঙ্গা ও দু’জন মামলার আসামী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ছাড়া বাকী ১৪৬ জনকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ক ১২২ জন সম্মতি দেয়ায় নিজেদের জিম্মায় তাদের আজকেই ছেড়ে দেয়া হবে। তথ্যের গরমিল থাকায় বাকীদের ছাড়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। পরিচয় তথ্য স্পষ্ট হলে তাদেরও ছেড়ে দেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ।
এদিকে, কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মতিউল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া ভিকটিম পক্ষ থেকে আবেদনে পরিপ্রেক্ষিতে ২০ দালালের বিরুদ্ধে দায়ের করা এজাহারটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী উখিয়া কুতুপালং শরনার্থী শিবিরের ব্লক-এফ, শেড-১৫ এর সলিম উল্লাহর ছেলে হামিদ হোসেনকে এরই মধ্যে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মামলার আসামী দালালদের বিরুদ্ধে মানব পাচারের আরো একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান ওসি।
প্রসঙ্গত, নৌ-পথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে গত ২১ মে মিয়ানমারের জলসীমায় ভাসমান অবস্থায় ২০৮ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। তাদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে ১৫০ জনকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে শনাক্ত করা হয়। পরে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশের হাতে তাদের হস্তান্তর করে মিয়ানমার সরকার। ১৫০ জনকে সোমবার মিয়ানমার থেকে ফিরিয়ে আনে বিজিবি। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় তাদেরকে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ডরমেটরীতে নিয়ে আসে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল থেকে সকলের তথ্য যাচাই বাছাই ও জবানবন্দি গ্রহণ শুরু হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।