জাতীয় ডেস্কঃ প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে আরব সাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হিক্কা’। এর প্রভাবে ভারতের গুজরাট, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বার্তায় জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উপকূলে আঘাত হানলে বাংলাদেশের সীমান্ত উপকূলবর্তী কিছু এলাকায় এর প্রভাব দেখা যাবে। ফলে বয়ে যেতে পারে ঝড়ো হাওয়া।
এদিকে আবহাওয়াবিদরা জানান, সেপ্টেম্বরে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব কমে এলেও অন্যান্য বছরের তুলনায়
এবারের চিত্রটা আলাদা। বর্তমানে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উড়িষ্যা অতিক্রম করে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় বিরাজমান। তাই চলমান বৃষ্টি সপ্তাহজুড়েই ঝরার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত হলেও সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতে প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।