জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন বলেছেন-ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। আমরা যার যার ধর্ম নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে উপলদ্ধি করতে পারি বলে সম্প্রীতির এই দেশে সকল ধর্মের মানুষ ভ্রাতৃত্ব ও সোহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সমানভাবে বসবাস করতে পারছি। তিনি বলেন-ধর্ম মানুষকে কল্যাণের পথ দেখায় এবং নৈতিক শিক্ষা দেয়। যারা ধর্ম থেকে দূরে চলে যায় তারাই নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত হয়ে পড়ে। জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন-ধর্মীয় শিক্ষার উপর ভিত্তি করে সাধারণ শিক্ষা অর্জন করতে হবে। সন্তানদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খোঁজ-খবর রাখতে অভিভাবকদের অনুরোধ করেন। তিনি মঙ্গলবার রাতে শহরের ঘোনারপাড়াস্থ শ্রীশ্রী কৃষ্ণানন্দধাম প্রাঙ্গনে ৩৭তম সার্বজনীন ষোড়শ প্রহরব্যাপি হরিনাম মহাযজ্ঞের ধর্মসভায় প্রধান অতিথি ও উদ্বোধকের বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। মহোৎসব উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সাধন পাল বৈঞ্চবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ধর্মসভায় প্রধান ধর্মীয় আলোচক ছিলেন-পটিয়া পাঁচুরিয়া তপোবন আশ্রমের অধ্যক্ষ ও সভাপতি শ্রীমৎ স্বামী রবীশ্বরানন্দ পুরী মহারাজ। ধর্মীয় আলোচক ছিলেন-বাংলাদেশ হরিনাম প্রচার সংঘের সভাপতি শ্রীল নিত্যানন্দ গোস্বামী নয়ন ও উখিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক অজিত কুমার দাশ। সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও শ্রীশ্রী কৃষ্ণানন্দধাম কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য উদয় শংকর পাল মিঠুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত ধর্মসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রনজিত দাশ, শ্রীশ্রী কৃষ্ণানন্দধামী কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি এডভোকেট পীযুষ কান্তি চৌধুরী, কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন, জেলা জন্মাষ্ঠমী উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি পৌর কাউন্সিলর রাজ বিহারী দাশ, পৌর কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির, দুলাল কান্তি চক্রবর্তী, শ্রীশ্রী কৃষ্ণানন্দধামী কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারায়ন দাশ। এতে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাখেন-৩৭তম মহোৎসব উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নেপাল চন্দ্র আচার্য্য ও অর্থ সম্পাদক সেবক পাল।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।