২২ এপ্রিল, ২০২৫ | ৯ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২৩ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

নতুন ইসি’র কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা আ’লীগের

নতুন গঠন করা নির্বাচন কমিশন (ইসি) সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা। সেই সঙ্গে নতুন এ ইসি জাতিকে ২০১৯ সালে একটি সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা প্রত্যাশা করছেন।
সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রস্তাবিত ১০ জনের নামের তালিকা থেকে রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণা করেন। এর আগে সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে দেন। এ সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে রাষ্ট্রপতি ৫ সদস্যের নতুন ইসি গঠন করেন।
নতুন নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদা। আর চার কমিশনার হিসেবে রয়েছেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, রাজশাহীর অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম, সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম ও ব্রি. জে. (অব.) শাহাদৎ হোসেন।
এ নতুন নির্বাচন কমিশনে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন তারা দক্ষ, যোগ্য এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। সেই সঙ্গে এই নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করবে বলেও তারা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

ইসি গঠনের পর পরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ওই নেতারা নতুন নির্বাচন কমিশন যাতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পারে সে জন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতি ইসিকে সহযোগীতা করার আহ্বান জানান।

নতুন নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ওপর ইসি গঠনের দায়িত্ব দেওয়া আছে। সে অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠন করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এ ইসি ২০১৯ সালে জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে। সে নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
নতুন ইসি সম্পর্কে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ যে নামের তালিকা দিয়েছিলো সেই তালিকা থেকে নতুন নির্বাচন কমিশনে এক জনকেও নেওয়া হয়নি। রাষ্ট্রপতি তিনি রাষ্ট্রের প্রধান এবং সংবিধানের অভিভাবক। তিনি তার বুদ্ধি ও বিবেচনা দিয়ে ইসি গঠন করেছেন।

আওয়ামী লীগের মতো একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের তার প্রতি আস্থা রয়েছে এবং আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধাশীল এই সিদ্ধান্তের প্রতি। এখন সব রাজনৈতিক দল এই ইসিকে সহযোগীতা করলে নিশ্চয়ই তারা আগামীতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে এবং জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে- জানালেন আব্দুল রহমান।

আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ দেওয়া তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের প্রত্যেকে মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতা দেখিয়ে কর্মজীবন শেষ করেছেন এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়েছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণ বা সম্পর্ক রাখার কোনো খবর আমরা শুনিনি। সেই বিবেচনায় আমি মনে করি এই ইসি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির প্রত্যাশা পুরণে সক্ষম হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।