৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭২ জন নতুন ভোটার নিয়ে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে এ তথ্য জানান ইসির সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, যেসব নাগরিকের ভোটার হওয়ার বয়স থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে ভোটার হতে পারেননি তাদেরকে ভোটার তালিকা হাল-নাগাদের আওতায় এনে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
সচিব বলেন, ২০১৫ সালে ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬৫৫ জন নাগরিকের তথ্য নেয়া হয়। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৮১ হাজার ৯২৯ জন । আর ২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ৭১ হাজার ১৭ জনের তথ্য নেয়া হয়। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৮৮৩ জন। মহিলা ১ লাখ ৫০ হাজার ১৩৪ জন।
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, সবমিলে মোট ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭২ জন নতুন ভোটার নিয়ে খসরা ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সোমবার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ২ হাজার ৮১২ জন। নারী ভোটার ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৬০ জন।
এসব ভোটারের বিষয়ে দাবি আপত্তির শেষ তারিখ ১৭ জানুয়ারি, দাবি নিস্পত্তি ২২ জানুয়ারি, ২৭ জানুয়ারি রেজিস্ট্রেশন অফিসার কর্তৃক দাবি আপত্তি সংশোধনীর জন্য দাখিলকৃত দরখাস্তের আপত্তি গৃহীত হবে। ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।
সচিব আরো বলেন, নতুন ভোটরসহ দেশে বর্তমানে ভোটারের সংখ্যা ১০ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৬০১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ২০ লাখ ৬৪ হাজার ১৮ জন।
দেশে বর্তমানে যেসব ভোটার রয়েছে তাদের সঙ্গে নতুন এ ভোটারদের যুক্ত করা হয়েছে । গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারিতে যারা ভোটারযোগ্য ছিলেন তাদেরকে এ সুযোগ দেয়া হয়েছে।
এই হাল-নাগাদে যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯৯ বা তার পূর্বে অথচ ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০১৫-২০১৬ কার্যক্রমে নিবন্ধন করা হয়নি তাদেরকে নিবন্ধিত করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। ওই হাল-নাগাদ কার্যক্রমে ইসির টার্গেট ৭২ লাখ থাকলেও নিবন্ধিত হয় প্রায় ৪৪ লাখ ৩৩ হাজার নাগরিক।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রথম ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ শুরু হয়। সে সময় ৮ কোটি ১০ লাখের বেশি নাগরিককে তালিকাভুক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্রও দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ২০১০, ২০১২, ২০১৪ ও ১৬ সালে ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।