বার্তা পরিবেশক:
নবগঠিত কক্সবাজার শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক ইমরান হোসেন সিকদার একজন স্বীকৃত ইয়াবা ব্যবসী এবং তার ভাই স্বেচ্ছাসেবকলীগের শীর্ষ নেতা। অন্যদিকে কমিটির অন্যান্যদের বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ উঠেছে। দুঃসময়ের আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে থাকা ত্যাগীদের বাদ দিয়ে হাইব্রীড ও সুবিধাবাদীদের কমিটিতে আনা হয়েছে। এই নিয়ে তৃণমুলের সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
সাধারণ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক ইমরান হোসেন একজন শীর্ষ মাপের ইয়াবা ব্যবসায়ী। দুই বছরে আগে সাঁড়াশী অভিযান চালিয়ে জনতাকে সাথে নিয়ে বিপুল ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছিলো। এসময় পুলিশের উপর হামলা করেছিল ইমরানের লোকজন। অন্যদিকে তার ভাই পৌর কাউন্সিলর সাহাব উদ্দীন সিকদার স্বেচ্ছাসেবকলীগের একজন শীর্ষ নেতা। এমন একজন লোক কিভাবে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হয়- এমন প্রশ্ন তৃণমুলের সাধারণ নেতাকর্মীদের।
অভিযোগ মতে, কমিটিতে স্থান পাওয়ারা সুবিধাবাদী। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনসহ দলের অতীতের কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে তারা মাঠে ছিলো না। পক্ষান্তরে যারা সব আন্দোলন-সংগ্রামে জীবন বাজি রেখে মাঠে থেকে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে স্থান দেয়া হয়নি।
সাধারণ নেতাকর্মীদের আরো অভিযোগ, নবগঠিত কমিটি এটি ‘পকেট কমিটি’। একটি চক্র নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ত্যাগীদের বাদ নিজেদের পছন্দের লোক দিয়ে গোপনে অগঠনতান্ত্রিক ভাবে এই কমিটি গঠন করেছে। যার কারণে এই কমিটিতে মুল কমিটি ও ওয়ার্ড কমিটির কাউকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। তাই এই কমিটি বাতিল করে ত্যাগীদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
আকস্মিক গঠিত এই কমিটির নিয়ে জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝেও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সবাই এই কমিটি বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল বলেন, কমিটি অনুমোদন দেয়ার আগে এসব অভিযোগ আমাদের আসেনি। এখন যেহেতু অভিযোগ এসেছে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো। সাংগঠনিক দায়িত্বশীলত কমিটি অভিযোগ তদন্ত করবেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।