কক্সবাজারের টেকনাফে আনসার ক্যাম্পে গত বছর লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ি এলাকায় আরও দুইদিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলবে। র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা পাহাড়ির অঞ্চলের গভীর অরণ্যে সম্ভাব্য দুটি পাহাড়ও ঘিরে রেখেছে। ঘটনাস্থলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব এই তথ্য জানিয়েছে।
উখিয়ার কুতুপালং এলাকা থেকে সোমবার রাতে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির গহীন পাহাড়ে অভিযান চালান র্যাব সদস্যরা। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ভোর রাতে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় টেকনাফের আনসার ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া পাঁচটি অস্ত্রসহ মোট ১০টি অস্ত্র ও ১৮৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নাঈক্ষ্যংছড়ির টুম্বোরো এলাকার গহীন অরণ্য থেকে এসব অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
এসময় র্যাবের ডিজি বেনজির আহমেদ ও আনসারের ডিজি মিজানুর রহমানসহ বিপুল সংখ্যক র্যাব, পুলিশ, সাংবাদিক ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
পরে ঘটনাস্থলেই প্রেস ব্রিফিং করেন বেনজির আহমেদ ও মিজানুর রহমান। তারা বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলের গভীর অরন্যের সম্ভাব্য দুটি পাহাড় ঘিরে রেখেছে র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে আরও দুদিন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তারা আরও জানান, আনসার ক্যাম্পে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে র্যাবের একটি দল উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে টেকনাফের নয়াপাড়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ব্যারাকে হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক খাইরুল আমিন ও মাস্টার আবুল কালাম আজাদ।
গত বছরের ১৩ মে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ব্যারাকে সশস্ত্র হামলা চালায় একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত। এ সময় হামলাকারীদের গুলিতে নিহত হন ব্যারাকের দায়িত্বরত আনসার কমান্ডার। হামলাকারীরা লুট করে নিয়ে যায় ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬৭০ রাউন্ড গুলি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।