২৮ নভেম্বর, ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা ক্লাসে ৭০% উপস্থিত থাকবে না তাদের পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেওয়া হবে না- শাহাজাহান চৌধুরী   ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান

নাইক্ষ্যংছড়িতে বন্যায় কৃষি বিভাগের ১ কোটি ৬৯ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

download
সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়িতে স্মরণকালের টানা ৪৮ ঘন্টার বন্যায় কৃষি বিভাগের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ঘুমধুম, বাইশারী ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নে বন্যার পানিতে ৮৮হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে। এতে পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে ৫২হেক্টর জমির চাষাবাদ। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে যার ক্ষতির আনুমানিক পরিমাণ ১কোটি ৬৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।
জানা গেছে, গত ২৩ জুন থেকে নাইক্ষ্যংছড়িতে ভারী বর্ষণ শুরু হলে ২৪ ও ২৫ জুন টানা দুই দিন পানি বন্দি হয়ে পড়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, বাইশারী, ঘুমধুম ইউনিয়নের কিছু অংশ। এছাড়াও দোছড়ি ও সোনাইছড়িতেও পাহাড়ী ঢলের পানিতে চাষাবাদ ও বিভিন্ন বাগানের ক্ষতি হয়। এতে উপজেলায় ৯ হেক্টর আউস উফশী ফসল, আউশ জুম ৮ হেক্টর, রোপা আমন বীজতলা ১ হেক্টর, গ্রামীণ সবজি ৬১ হেক্টর, আদা ও হলুদ ৭ হেক্টর, মিশ্র ফল বাগান ২ হেক্টর জমির চাষাবাদ ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে গ্রামীন সবজি চাষাবাদে। এতে গ্রামের ক্ষুদ্র চাষীরা চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
অভিজ্ঞ কৃষকদের মতে, কৃষিতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে না পারলে এর প্রভাব পড়বে জীব-বৈচিত্রের উপর। বন্যা কবলিত এলাকায় আমনের ক্ষতির পাশাপাশি কলা বাগান, আম, কাঠালসহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ নষ্ট হয়ে গেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর এলাকায় কৃষি বিভাগের দায়িত্বরত উপ-সহাকারী কৃষি কর্মকর্তা মুহিবউল্লাহ জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় তাঁর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ১হেক্টর সম্পূর্ণ সবজি ক্ষেতসহ আরো প্রায় দেড় হেক্টর চাষাবাদ ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষয় ক্ষতির বিষয়ে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের দক্ষিণ নারিচবুনিয়া এলাকার গ্রামীন সবজি চাষী ছমুদা বেগম, নজির আহামদ, ফরিদুল আলম, কবির আহামদ, দক্ষিণ বাইশারীর এখলাসুর রহমান জানান, টানা দুই দিনের বন্যায় তাদের চাষাবাদের আদা-হলুদ, ও সবজি ক্ষেত সম্পূর্ণ ভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে। অতীব কষ্টে বহু অর্থ ব্যয় করে তারা এসব চাষ করেছিলেন বলে জানান। অপরদিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার মো: আজিজ, শাহজাহান, ফকির আহামদ জানান- ভারী বৃষ্টিপাত ও তুমব্রু খালের জলোচ্ছাসে আখ ক্ষেতের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগের দায়িত্বরত মাঠ কর্মকর্তা নিয়মিত এলাকায় না থাকায় বন্যায় ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা সম্ভব নয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো: জাহিদুর রহমান জানান- ২৩-২৭ জুন পর্যন্ত প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলায় ৮৮হেক্টর জমিতে ক্ষতি হয়েছে। আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে থাকলে চাষকৃত জমিতে অন্তত ১০৭৪ মে:টন ফসল উত্তোলন করে কৃষকরা অন্তত ১কোটি ৬৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এ সংক্রান্ত সংশোধিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য উপজেলায় ১৫০ হেক্টর আউস উফশী ফসল, আউশ জুম ৬১২ হেক্টর, রোপা আমন বীজতলা ১০ হেক্টর, গ্রামীণ সবজি ২৫২ হেক্টর, আদা ও হলুদ ২২৩ হেক্টর, মিশ্র ফল বাগান ৩৮৯১ হেক্টর জমি রয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।