নাইক্ষ্যংছড়িতে পাষন্ড স্বামী ও স্বামীর বাড়ির লোকজন কর্তৃক যৌতুকের দাবীকে চার সন্তানের জননী গৃহবধূ নুর নাহারকে শারীরিক নির্যাতনের পর মুমর্ষ অবস্থায় রাতভর বেধে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ঘিলাতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে স্থানীয় প্রতিবেশী ও গ্রামের সর্দারের সহযোগিতায় নুর নাহার (৩০) নামে ওই গৃহবধূকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত নুর নাহারের কপালের ডান পাশে ফাটা জখম ও ডান হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে থেতলা জখম হয়েছে বলে জানান নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তপন বড়–য়া।
আহত নুর নাহার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সদর ইউনিয়নের ২নং ওযার্ডের ঘিলাতলী এলাকার বাসিন্দা আবু তৈয়বের সাথে বিগত প্রায় ১০-১২ বৎসর পূর্বে নুর নাহার এর বিয়ে হয়েছিল। বর্তমানে তাদের সংসারে এক মেয়ে ও তিন ছেলে সন্তান আছে। বিয়ের কিছুদিন তারা শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করলেও সম্প্রতি স্বামী আবু তৈয়বসহ ভাসুর ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নুর নাহার এর পিতার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। স্ত্রী যৌতুকের টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় শুক্রবার রাতে পাষন্ড স্বামী আবু তৈয়বের সহায়তায় ভাসুর ও শ্বাশুড়ি তাঁকে মির্মম ভাবে পিটিয়ে জখম করে। এসময় স্ত্রী নুর নাহার জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ঘটনা ধামাচাপা দিতে পাষন্ড স্বামী আবু তৈয়ব স্ত্রীকে আহত অবস্থায় রাতভর বন্দি রুমে আটকে রাখে।
শনিবার ভোরে ঘটনার বিষয় জানতে পেরে এলাকার সর্দার জাফর আলমের সহায়তায় প্রতিবেশী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মুমর্ষ অবস্থায় নুর নাহারকে উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। ঘটনার পর থেকে স্বামী আবু তৈয়ব পলাতক রয়েছে। এ সংবাদ লিখাকালীন সংগঠিত ঘটনায় ভিকটিম নুর নাহার কর্তৃক নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় নারী নির্যাতন ও যৌতুক আইনে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি (তদন্ত) তৌহিদুল ইসলাম বলেন- শনিবার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।