বিশেষ প্রতিবেদকঃ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার পথে রেডক্রিসেন্টের ত্রাণবাহী ১টি ট্রাক উল্টে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জন ও আহত হয়েছে ১১ জন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহত ও আহত সবাই শ্রমিক বলে জানা যায়।
নিহতরা হল, মো. মামুন (২২), মো. আব্দুল্লাহ (১৮), সৈয়দ আলম (৩০), মো. আব্দুল জলিল (৩৫), মো. আবদুল (২৫), সুরুত আলম (৪০), আবদুল মাবুদ (৪০), সুদর্শন বড়–য়া (৪৫), মো. সুলতান আহমদ (৪৫) ও আজিজুর রহমান (৩৫)। নিহত সকলেই নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা।
আহতরা হল, মো. সেলিম (৩০), সৈয়দুর রহমান (৩৫), মো. ফয়েজ (৩০), আলী হোসেন (৫০), মো. ইউছুফ (৩৫), আবু তাহের (৩০), মো. বাবুল (২২), জিয়াউর রহমান (১৮), মো. জসিম (২৫), আলী আকবর (১৮) ও মো. সুলতান (৩৫)। আহতদের কক্সবাজার সরকারী মেডিকেল কলেজ ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার চারঢালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নাইক্ষ্যংছড়ির ইউএনও এস এম সারোয়ার কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ত্রাণবাহী ট্রাকটি নাইক্ষ্যংছড়ির রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার পথে স্থানীয় চাকঢালা মাদ্রাসার পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে খাদে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রেড ক্রিসেন্টের বান্দরবান জেলা সেক্রেটারী এ.কে.এন জাহাঙ্গীর বলেন, ট্রাকটি চাকঢালা সীমান্তের বড় ছনখোলায় রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে বিতরণের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিল। ত্রাণ কাজ পরিচালনার জন্য মালবাহী ট্রাকটিতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক ছিলেন। পথে চাকঢালা সীমান্ত চৌকির কাছে পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। তখন ট্রাকটি রাস্তা থেকে উল্টে পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। এ ছাড়া আহত বার জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ তৌহিদ কবির বলেন, নিহতের লাশ সনাক্ত করে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। আহত অনেকের অবস্থা আশংকাজনক।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি আসলে মর্মান্তিক। মালের নিচে পড়ে যাওয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। কি কারণে দূর্ঘটনা হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।