হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক মো.শফিউল্লাহ (নৌকা) ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এতোদিন স্বতন্ত্র প্রার্থী- মোটর সাইকেল প্রতীকের আবু তাহেরের অবস্থান তুলনামূলক ভাল চলছিল খবর রটে সর্বত্র। কিন্তু শেষ মুহুর্তে পাল্টে যায় সে ভোটের চিত্র।
উপজেলার ভোট ব্যাংক খ্যাত বাইশারীতে অধ্যাপক মো.শফিল্লাহকে জেতাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন সর্বস্তরের জনগণ। সেই সঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, সোনাইছড়ি, ঘুমধুম ও দোছড়ি ইউনিয়নেও শুরু হয়েছে শফিউল্লাহ’র- নৌকা প্রতীকের গণজোয়ার। উপজেলার অধিকাংশ বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, হেডম্যান-কার্বারি, আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী একাকার হয়ে রব তুলেছে ‘শফিউল্লাহ’ ‘শফিউল্লাহ’ স্লোগানে।
ভোটাররা বলছেন- সম্প্রতি শফিউল্লাহ আবেগ ছোঁয়া বক্তব্য দিয়ে ভোট ভিক্ষা চেয়েছেন। তিনি বক্তব্যে বলেছেন, জনসেবা করার মানসে তিনি সরকারি কলেজের শিক্ষকতা ছেড়েছেন। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন। তাঁর প্রয়াত বাবা ছালেহ আহমদ নাইক্ষ্যংছড়ির রূপকার। বাবার মতো শফিউল্লাহও নাইক্ষ্যংছড়ির সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবেন। জনগণের সুখে দু:খে থাকবেন। সেই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে ভোটারদের মনিকোঠায় স্থান পেয়েছে শফিউল্লাহ। অন্যদিকে ১৫ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার কারণেও শফিউল্লাহ’র ভোট বেড়েছে।
উল্লেখ্য : অধ্যাপক মো.শফিউল্লাহ নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর চলো ‘এবার বদলে দেই নাইক্ষ্যংছড়ি স্লোগানে’ ইশতেহার ঘোষণা করেন। সেই ইশতেহারগুলো হচ্ছে- ১. নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাকে পৌরসভায় রূপান্তর, উপজেলায় নতুন তিনটি ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা, পর্যটন কমপ্লেক্স স্থাপন, পানিয় জলের সমস্যার দূরীকরণ, বিশেষ অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলা, উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নাইক্ষ্যংছড়িতে মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা, আবাসিক সুবিধাসহ মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, হাজি এম এ কালাম সরকারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, চাকঢালা ও ঘুমধুমের প্রস্তাবিত বাণিজ্যিক ট্রানজিটের (স্থলবন্দর) পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন, ঘরে ঘরে শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করা, আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কৃষি, মৎস্য ও পশু সম্পদের সম্প্রসারণ, মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত নাইক্ষ্যংছড়ি ছালেহ আহমদ সড়কের সম্প্রসারণ, স্থানীয় ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণ এবং মসজিদ-মন্দির-গির্জা ও ক্যাং ঘরের আধুনিকায়ন। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এসব ইশতেহার বাস্তবায়ন করবেন বলে জানান অধ্যাপক মোঃ শফিউল্লাহ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।