শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই পাবর্ত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রতিটি গ্রামে চলছে সুপেয় পানির তীব্র সঙ্কট। খাওয়ার পানি তো দূরের কথা, দিনের তাপদাহে ওষুধ সেবনের পানিও নলকূপ থেকে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ফলে সুপেয় পানি ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের কাজে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে সর্বত্র। টিউবওয়েল, রিংওয়েল থেকে পানি না ওঠায় অনেকে দূর-দূরান্তের বিভিন্ন ছড়া, খাল ও পুকুরের স্বল্প পানি সংগ্রহ করছে। পানির এ সংকট পুরো শুষ্ক মৌসুম জুড়ে অব্যাহত থাকবে। তবে অন্যন্য বছরের চেয়ে এবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: সুমন। জীবন ধারণের জন্য মানুষকে সর্বপ্রথম পানির কথা চিন্তা করতে হলেও সাম্প্রতি পানি সংকটের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জরুরী কোন পদক্ষেপ লক্ষ্যনীয় নয়।
মোট ৪৬৯.০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বর্তমানে প্রধান সমস্যা হল সুপেয় পানি। উপজেলার প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ দৈনিক সুপেয় পানি সংকটে পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলা সদরের সরকারী-কর্মকর্তা কর্মচারীরা সুপেয় পানি কিনে পান করছেন। অনেকে পরিবারে পানি সরবরাহের জন্য গভীর রাতে দূর দূরান্তে ছুটে যেতে দেখা যায়। অপরদিকে উপজেলার পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি খাল ও ছরাগুলোও বর্তমানে মৃতপ্রায়। বিগত সময়ে এসব খাল-ছরা থেকে অন্তত দৈনন্দিন ব্যবহার্য্য পানি সংগ্রহ করা যেত।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ জানায়, প্রতিবারের মতো এবারও পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। তবে উপজেলার কোনো কোনো এলাকায় পানি পাওয়া যায়। আবার কোনো কোনো এলাকায় ২০০ ফুটের নিচেও পানি পাওয়া যায় না।
তাই অমূল্য সম্পদ পানি সম্পদের সুচারু ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি আমাদের প্রত্যেককে সচেষ্ট হতে হবে। খাল-ছরা সংস্কার, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণসহ বাস্তবভিত্তিক, সময়োচিত ও সুদূরপ্রসারী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।