৬ মার্চ, ২০২৫ | ২১ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ৫ রমজান, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ভিডিও ভাইরাল, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি   ●  টেকনাফে ১০০০ জেলে পরিবারকে সহায়তা করছে কোস্ট ফাউন্ডেশন   ●  আল-নুর ইন্টান্যাশনাল মাদ্রাসা’র বই বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  টেকনাফে গহীন পাহাড়ে বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু!   ●  কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে ‘হাসিনার ভূত’ .নৈশভোটের মাস্টারমাইন্ড ইয়ামিন বহাল তবিয়তে   ●  কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যোগদান করলেন ডা. আরিফা মেহের রুমী   ●     ●  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিমের কবর জিয়ারত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দল   ●  চকরিয়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে আটক   ●  অনুপ্রবেশকালে বিজিবি হেফাজতে ৩৬ মিয়ানমার

নাইক্ষ্যংছড়ির মানবপাচারকারীরা ধরাছোয়ার বাইরে

Coxs-Flag-meeting-thereport
থাইল্যন্ডে গণকবর আবিষ্কার পরবর্তী দেশ-বিদেশের সর্বত্র আলোড়ন সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে এর সাথে জড়িত মানবপাচারকারীরা আত্মগোপনে গেলেও সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির চিহ্নিত মানবপাচারকারীদের বিষয়ে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন। উপজেলা সদর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত প্রকাশ্যেই তৎপরতা চালাচ্ছে তারা। এসব মানবপাচারকারী চক্রটি গ্রামের অসহায় বেকার লোকজনকে সহজ পদ্ধতিতে স্বপ্নের শহর মালেশিয়ায় নেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেয়। এতে কেউ কেউ নিখোজ আবার অনেকে থাইল্যন্ড, মালেশিয়া ও বাংলাদেশ সীমান্তে আটক হয়ে অনিশ্চিত জীবন পাড়ি দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে প্রথম দফায় ১২ বাংলাদেশী নাগরিক মাঝ সাগর থেকে নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়ে নাইক্ষ্যংছড়িতে ফেরত এসেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দালালদের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতারণা, জেল, নির্যাতন, আর্থিক ক্ষতির অহরহ ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, গত দুই বৎসর ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বেকার অসহায় লোকজন অবৈধ পথে মালেশিয়া যাওয়া শুরু করে। প্রথম পর্যায়ে অনেকে মালেশিয়ায় পৌছতে সক্ষম হলেও গত এক বৎসর যাবত অধিকাংশ অভিবাসী প্রশাসনিক ঝামেলায় পড়ে। তারা গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে কোন অর্থ ছাড়াই আবার কখনও সামান্য অর্থ নিয়ে নদী পথে পাচার করেছে। নাইক্ষ্যংছড়ির আশারতলী, চাকঢালা, ফুট্টাঝিরি, আদর্শগ্রাম, ছালামীপাড়া, বিছামারা, কালুকাটা, প্রধানঝিরি, জামছড়ি, বাগানঘোনা, তুমব্রু, ঘুমধুম, সোনাইছড়ি এলাকার একটি চক্রটি বেশি সক্রিয়।
সম্প্রতি ফেরত আসা ১২ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জনৈক নুর হোছন, দিদার মিয়া, ইমাম হোছন, মো: শরিফ, ছৈয়দ নুর, আবদুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, ছৈয়দ আহামদ, সোলতান আহামদ, মো: ইকবাল, আমির হোছন, হোসন আহামদ, ছৈয়দ হোছন, মো: দিলদার মিয়া, মো: জাকারিয়া, মো: নুরুল আলম, মো: নুরুজ্জামান, মো: আবদু সালাম, আবদুর রহিম, মো: আবদুল গফুর, মো: সেলিম, আবদুর রহমান ধলাইয়া, এনায়েত উল্লাহ, হামিদুল হক, নুরুল আমিন, ফজল কবির, ঘুমধুম ইউনিয়নের মিজানুর রহমান, মো: আলম, আনোয়ার ইসলাম, আবু তাহের কাজল, আইয়ুব আলী, আবদুর রহিম, শফিকুল ইসলাম, ইউছুপ আলী, হামিদুল হক, কামাল উদ্দিন, জামাল হোছন, কবির আহামদ, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম, মুজিবুল্লাহসহ অনেকে দীর্ঘদিন যাবৎ মানব পাচারের সাথে জড়িত।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব মানবপাচারকারীরা গত কয়েক বছর যাবত এলাকার একাধিক মানুষকে মালেশিয়ায় পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে। ইতিপূর্বে স্থানীয় বাসিন্দাদের মালেশিয়ায় নেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগও রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কর্তৃক সঠিক তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে এসব মানবপাচারকারীদের মূল সিন্ডিকেট হুতাদের আটক করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মো: আবুল খায়ের বলেন- সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পেলে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়না। এ পর্যন্ত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপরও ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে নতুন করে অভিযোগ পেলে পাচারকারী দালালচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।