বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল, নানা কারণে আমরা সে লক্ষ্যে অর্জনে সক্ষম হইনি। বার বার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী শক্তি আমদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশি-বিদেশি চক্রান্তের ফলে আমদের গণতান্ত্রিক পথচলা বার বার হোঁচট খেয়েছে। বিঘ্নিত হয়েছে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের প্রচেষ্টা। দুর্বল করা হয়েছে আমাদের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বকে।
খালেদা জিয়া মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শনিবার এক বাণীতে এ কথা বলেন। দলটি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বাণীতে তিনি এই দিনে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
বিএনপি চেয়ারপার্সন মহান এ দিনে স্বাধীনতা-যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাদের আত্মত্যাগে আমরা অর্জন করেছি স্বজাতির মুক্তি। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ সকল জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। স্মরণ করি সেইসব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা, যাদের নয় মাস জীবন মরণ লড়াইয়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সে সব মা-বোনদের কথা, যারা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ২৬ মার্চ আমাদের এমন এক মহিমান্বিত দিন, আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা যা সংগ্রাম আর যুদ্ধের রক্তস্নাত পথে বিশ্ব মানচিত্র উদ্ভাসিত হয় দেশমাতৃকার মুক্তি। এ দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। সেদিন জাতীয় নেতৃত্বের অনুপস্থিতিতে তার ঘোষণায় দিশেহারা জাতি পেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র। ফলে দীর্ঘ নয় মাস ইতিহাসের এক ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জনে সক্ষম হই।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।