চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার রাত ৯টায় চেয়ারপার্সনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপি এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জোটগত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এছাড়া বৈঠক সূত্র জানায়, ওই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও এলডিপির মেয়র প্রার্থীতা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলন ও প্রস্তাবনা নিয়েও বিশদ আলোচনা করা হয়। এ আলোচনায় খালেদা জিয়ার ওই প্রস্তাবনাকে ২০ দলীয় জোটের প্রস্তাবনা হিসেবে গ্রহণ করে তা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আরো গ্রহণযোগ্য ও জনমত গঠনে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জোটের এ বৈঠকের শেষভাগে খালেদা জিয়া এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আমি গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থে কোন আপোস করবো না। এর আগেও করি নাই। আমার কারণেই ১/১১ ব্যর্থ হয়েছে। আর এ কারণেই শেখ হাসিনা আজ প্রধানমন্ত্রী।
খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের জোট ও দল ভাঙার ষড়যন্ত্র চলছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা কষ্টের মাঝে যেমন ঐক্যবদ্ধ থেকেছি তেমনি সুখের দিনেও একসঙ্গে থাকবো।
জোটের শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, খেলাফত মজলিসের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসহাক, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আবদুর রকিব, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাম্যবাদী দলের (একাংশ) চেয়ারম্যান সাঈদ আহমেদ, জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির মহাসচিব ড. রেওদয়ান আহমেদ, জাগপার মহাসচিব খন্দকার লুত্ফর, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া প্রমুখ।
এদিকে বুধবার রাতে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন খালেদা জিয়া।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।