নিউজপ্রিন্টকে সংবাদপত্র শিল্পের কাঁচামাল উল্লেখ করে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে কাগজ আমদানির ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে নিউজপেপারস ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
নোয়াবের মতে, পত্রিকা শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে আমদানি করা নিউজপ্রিন্টের ওপর কোনো আমদানি কর থাকা উচিত নয়। কারণ এ কাঁচামাল পত্রিকা হিসেবে বিক্রি হওয়ার আগে মুদ্রণ, সংযোজন, মিশ্রণ ও কাটিংয়ের মাধ্যমে বড় ধরনের রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যায়।
সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এ প্রস্তাব দেন নোয়াবের সভাপতি প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান।
এনবিআরের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বাজেট আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন শুল্কনীতির জ্যেষ্ঠ সদস্য ফরিদ উদ্দিন, আয়কর নীতির সদস্য পারভেজ ইকবাল, মূসক বাস্তবায়নের সদস্য এনায়েত হোসেন।
বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরে মতিউর রহমান বলেন, ‘এ অঞ্চলে সংবাদপত্র শিল্প এখনো বিকাশমান। শিল্প ঘোষণা করা হলেও শিল্পের কোনো সুযোগ-সুবিধা সংবাদপত্র পাচ্ছে না। সংবাদপত্রের মূল খরচের ৭০ শতাংশই নিউজপ্রিন্ট ব্যয়। এ কারণে সংবাদপত্রের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। আমদানি করা নিউজপ্রিন্ট থেকে সরকার খুব বেশি রাজস্ব পাচ্ছে না। তাই আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে খুব বেশি ক্ষতি হবে না।’
এ ছাড়া নোয়াবের পক্ষ থেকে নিউজপ্রিন্ট আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, বিজ্ঞাপনের ওপর অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের যুক্তিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপনের ওপর অগ্রিম আয়কর সংবাদপত্রশিল্পের জন্য অতিরিক্ত দায়। কারণ বিজ্ঞাপন এজেন্সি থেকে প্রত্যয়ন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আবার অনেক ক্ষেত্রেই প্রত্যয়নপত্র পাওয়া যায় না। ফলে বছর শেষে রিটার্নের সঙ্গে সংবাদপত্রকেই ওই উৎসে কর পরিশোধ করতে হয়। ফলে সংবাদপত্রশিল্প বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, সমকালের প্রকাশক একে আজাদ, ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ ও সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবীর।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।