দেশী বিদেশী নানা সংগঠন রোহিঙ্গাদের না যেতে অনুপ্রাণিত করছে- এমন মত সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের। তারা বলছেন, রোহিঙ্গারা থাকলে যারা সরাসরি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, তারাই চান না রোহিঙ্গারা চলে যাক নিজ দেশে। এ অবস্থায় কূটনৈতিকভাবে জোরালো অবস্থান ধরে রাখার কোন বিকল্প নেই বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
দিন, মাস বছর ছাড়িয়ে ২৫ আগস্ট হবে বাংলাদেশে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দু’বছর।
কথা ছিলো তারা ফিরবে নিজ দেশে, কিন্তু দ্বিতীয় দফায় এবারও তারা নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ ও নাগরিকত্বের দোহাই তুলে যেতে রাজি হয়নি। তাহলে এতো আয়োজন আর কূটনৈতিক তৎপরতা কি ভেস্তে গেলো?
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবির বলেন, রোহিঙ্গারা কিছু নির্দিষ্ট শর্ত দিয়েছে ফিরে যাওয়ার জন্য। তাদের ফেরার জন্য অনুকূল পরিবেশও সৃষ্টি করতে হবে।
রোহিঙ্গা সংকট সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার তাই সমাধানও করতে হবে তাদেরকেই। যারা যেতে চান না তাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরির দায় নিশ্চয় বাংলাদেশের নয়। তবে শুধুই অনুকূল পরিবেশ না থাকার দোহাই দিতে রাজি নন অনেকে। অনেকেরই মত রোহিঙ্গাদের না যাওয়ার উসকানি দিচ্ছে নানা মহল।
সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নানাভাবে ওদেরকে এখানে রাখার চেষ্টা করছে নিজের লাভের জন্য। দরকার হলে এখান থেকে এনজিওগুলোকে আমরা সরিয়ে দেবো।
জটিল এই সংকটে হাল না ছেড়ে বরং চীন ও ভারতের মতো বন্ধু রাষ্ট্রগুলো যাতে আরো তৎপর হয়; সরকারকে সেই উদ্যোগ নিতে বলছেন কূটনীতিকরা।
সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, ভারত ও চীনের সাথে বসে এ বিষয়ে কোন একটা সমাধান বের করতে হবে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবির বলেন, এ উদ্যোগে দ্বিপাক্ষিকতা থাকবে, আন্তর্জতিক সম্প্রদায় থাকবে, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো থাকবে, সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।
নিজ দেশে পরবাসী এই সম্প্রদায়ের জন্য মানবিক জায়গা থেকে বাংলাদেশ সামর্থ্যের বাইরে অনেক করেছে। এখন তাদের দায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে নিতে হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।