২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

নূর বানু হত্যাকাণ্ড: প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা

15328417_1102800166505558_1271947523_n
উখিয়ার মনখালীর নূর বানু হত্যাকাণ্ডে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসির মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে আসল রহস্য বের করার দাবী ওঠেছে।
গত ৩০ নভেম্বর উখিয়ার মনখালী এলাকার পাহাড় থেকে নুর বানু নামে এক বৃদ্ধ মহিলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে, কে বা কারা এ নির্মম হত্যা-টি ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এরপরও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি মহল। তারা থানা পুলিশ এবং নিহতদের পরিবারের ম্যানেজ করে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে এ চক্রটি ওঠেপড়ে লেগেছে।
এ দিকে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়েরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্তদল ভিকটিমের পরিবারের জবানবন্দি নেন। এই সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শনিবার জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেলে বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে।
ঘটনার তদন্ত প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, হত্যাকা-টি খুবই দুঃখজনক। ঘটনার আসল রহস্য বের করার চেষ্টা চলছে। নিরীহ কোন লোককে ফাঁসানোর সুযোগ নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় লোকজন বলেছেন, প্রতিদিনের মত গরু নিয়ে পাহাড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয় বৃদ্ধ মহিলাটি। কিন্তু তার পরিবারের সদস্যরা পাহাড় থেকে গরু নিয়ে আসলেও তাকে খোঁজে আনেননি। এনিয়ে এলাকাবাসির মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একদিন পরে লাশ উদ্ধার হলে স্থানীয় যুবদল নেতা রফিকুল হুদা, বিএনপি নেতা সোলতান আহমদ, জুহুর আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি চক্র হত্যাকা-টি তাদের প্রতিপক্ষের উপর চাপিয়ে দিতে উঠেপড়ে লেগে যায়।
তারা বলেন, বিভিন্ন মামলার পালাতক আসামী মোজাম্মেল হুদা পাহাড়ে বসবাস করেন। প্রতিদিন সে পাহাড় থেকে বের হলেও হত্যাকান্ডের পর থেকে সে পাহাড় থেকে বের হয়নি। কেন সে আত্মগোপনে চলে গেল তার বুঝা যায়নি। আমরা শুনেছি স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে রাতের অন্ধকারে তাকে চিকিৎসা করা হয়েছে। তাকে আটক করা হলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
বৃদ্ধ মহিলার হাতে থাকা দা দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবি করে তারা আরো বলেন, হত্যাকান্ডের আসল রহস্য ধামাচাপা রাখতে প্রতিপক্ষের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত তারা।
বৃদ্ধ ছৈয়দ হোসেন জানান, পাহাড়ের জঙ্গলে বসবাস করে রফিকের ভাই বিভিন্ন মামলার পালাতক আসামী মোজাম্মেল হুদা। এ হত্যাকান্ডের সাথে সে জড়িত থাকতে পারে বলেই আমার সন্তানদের মিথ্যা মামলায় জড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে। তিনি বলেন, স্থানীয় এবং জাতীয় নির্বাচনে তাদের সাথে আমাদের বিরুধ রয়েছে তাই টাকা দিয়ে তারা জঘন্য কাজটি করতে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচেছ।
খদিজা বেগম নামে এক বৃদ্ধ মহিলা জানান, আমার পরিবারের সাথে বৃদ্ধ মহিলার কোন সমস্যা নেই। অথচ রফিক ও তার সহযোগীরা আমার হাফেজ ছেলেকে মামলায় জড়াচ্ছে।
ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবচার কামাল কাজল জানান, মোজাম্মেল হুদাকে গ্রেপ্তার করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। তিনি বলেন, নিরহ মানুষকে আসামী করে মামলা করলে নিহত বৃদ্ধটি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন।
ইউপি সদস্য মোহাম্মদ মুছা বলেন, বৃদ্ধের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশ প্রশাসন খুবই আন্তরিক। আশা করি প্রকৃত খুনিরা ধরা পড়বে। কিন্তু নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা না করলে প্রশাসনের পক্ষে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃদ্ধ মহিলার সাথে এলাকার কোন লোকের ঝগড়া বিবাদ নেই। রহস্যজনকভাবে তাকে পাহাড়ী জঙ্গলে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিরপরাধ কোন লোককে না জড়ানোর আহবান করেছে এলাকাবাসী।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।