বিশেষ প্রতিবেদকঃ বিএনপি’র মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রথমে হুংকার ছাড়লেও এখন নোবেল পুরস্কারের আশায় রোহিঙ্গাদের ত্রাণ নিয়ে আওয়ামীলীগ রাজনীতি করছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ত্রাণ দখলে নিয়ে সরকার লোক দেখানো ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেন। মিয়ানমারের আগ্রাসন মোকাবেলায় রাষ্ট্রের এখন শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য দরকার। রাষ্ট্রের সকল শক্তিকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য ছাড়া রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব নয়, এরপরও এটি না করে নানা বিতর্কিত কথাবার্তা বলছেন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী।
মীর্জা ফখরুল বলেন, মিয়ানমারে নির্দয় শাসক গোষ্টি গণহত্যা, খুন, ধর্ষনের মতো অমানবিক নিপীড়ন চালিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এখন সব চেয়ে বড় দরকার জাতীয় ঐক্য। কিন্তু আওয়ামীলীগ এবং সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপির জাতীয় ঐক্যের ডাকে সাড়া পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কক্সবাজার বিএনপি’র জেলা কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মীর্জা ফখরুল আরো বলেন, যেখানে সারা দেশে দল ও মানুষের ঐক্য জরুরী হয়ে পড়েছে সেখানে সরকারের মন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নানা কথা বলে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করছেন। সরকারের বিজিবি’র প্রধান ২৫ আগস্ট হুংকার দিয়ে বলেছিলেন, একজন রোহিঙ্গাকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবেনা। অথচ আজ ৫লাখের বেশী রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২৬ ও ২৭ আগস্ট নাফ নদীতে রোহিঙ্গার লাশ দেখেও সরকার মানবিক হতে পারেনি। সে সময় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদের বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের সাথে সন্ত্রাসী ও মাদক আছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে। কিন্তু আওয়ামীলীগ নেত্রীর পুরস্কারের আশায় এখন ওবাইদুল কাদের সাহেবরা ডাবল স্ট্যান্ডার্ট দেখাচ্ছেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ২৮ আগস্টের দাবীর প্রেক্ষাপটে বর্হি:বিশ্বে এবং দেশে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি বদলে যায়। সমস্যার শুরু থেকে বিএনপি প্রতিদিন অভাবনীয় ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। বিএনপির দাবীর প্রেক্ষিতে সরকার রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ফেরৎ পাঠানো না পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই পরিস্থিতি সামলাতে হবে।
কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সরওয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, কেন্দ্রীয় নেতা শরিফুল আলম, শহিদুল ইসলাম বাবুল, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এড. শামীম আরা স্বপ্না প্রমুখ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।