বাপের বাড়িতে মধ্যযুগীয় কায়দায় এক নারীকে (৩৫) সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করেছে স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী। সেই সঙ্গে স্বামীকে মারধর করে তার সামনে বিবস্ত্র অবস্থায় ওই নির্যাতিতার ভিডিও ধারণ করে তারা। রবিবার দুপুরে নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে নির্যাতিতা ও তার পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে মাঠে নামে স্থানীয় পুলিশ।
জানা যায়, প্রায় ২০ থেকে ২২ দিন আগে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের একটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর নির্যাতিতা ও তার পরিবারকে সেই বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে সন্ত্রাসীরা। পরে এক সময় তারা ঘরের বাইরে তালা ঝুলিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়।
নির্যাতিতা ও তার পরিবার ছাড়া ঘটনার কথা এলাকার লোকজন জানলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলেনি। রবিবার দুপুরের দিকে নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিকালের দিকে পুলিশ নির্যাতিতা ও তার পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে মাঠে নামে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত আব্দুর রহীম (২৭) নামের ওই এলাকার এক সন্ত্রাসীকে সন্ধ্যার আগেই গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি সন্ধ্যার পর ওই নির্যাতিতা ও তার বাবাকে জেলা শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
রবিবার রাত নয়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত এলাকার ৩/৪ সন্ত্রাসী ওই নারীকে কু-প্রস্তাব দেয়। ওই নারী তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায় সন্ত্রাসীরা।
নির্যাতিতার ভাষ্য অনুযায়ী তিনি আরও জানান, স্বামীর সঙ্গে মতবিরোধের কারণে ওই নারী তার বাবার বাড়িতে ছিলেন। ঘটনার দিন তার স্বামী তার কাছে আসেন। রাতে তাদের শোবার ঘরে সন্ত্রাসী দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও রহিমসহ অপর একজন ডুকে তাদের উপর নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় অপর জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
সূত্রঃ ইত্তেফাক
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।