মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযোদ্ধাদের কোন সরকার খোজ রাখেনি। এমন এক সময় ছিল মুক্তিযোদ্ধা ভাইরা পরিচয় দিতে ভয় পেতো। আর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতা, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের পাকা বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এবছর থেকে প্রত্যেক উপজেলায় ১০জন দরিদ্র ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারিভাবে বাসভবন এবং কোয়াটার নির্মাণ করে দেওয়া হবে।’ মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানি চুক্তি হয়েছে, আমাদের সরকারের দেড় বছর মেয়াদের মধ্যে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন হবে, ৭০সালে নৌকায় ভোট দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি এবার নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে।’
বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানা সংলগ্ন মেইন রোডের পাশে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তিন তলা নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে কোটা ভিত্তিক চাকরি, যেকোনো সরকারী অফিসে গেলে বসার জন্য আলাদা ভাবে স্থান করে দেওয়ার জন্য সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অতিদ্রুত এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইডে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাসহ সকল ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে।সরকারি ভাবে মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় পত্র দেওয়া হবে।
ওই অনুষ্ঠানে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ.এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. গোলাম মহীউদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জজ কোর্টের পি.পি অ্যাড. আব্দুস ছালাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য এ.বি.এম আনোয়ারুল হক, এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাকিম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল বারেক হাওলাদার, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. তোজাম্মেল হক তোজা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা প্রমুখ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।