টেকনাফ বরযাত্রী বাহী বাস দূঘর্টনায় এক সংখ্যালঘু দম্পতির করুণ মৃত্যুর ১৫দিন পার হলেও অনাহার-অর্ধাহারে থাকা ৯ ছেলে-মেয়ে ও বিধবা ২য় স্ত্রীর খোঁজ খবর কেউ নিচ্ছে না। এমনকি গাড়ির মালিক পক্ষও কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় সংখ্যালঘু পল্লীতে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে নিহত কবিনের পরিবার পরিদর্শনকালে তার বৃদ্ধা মা সৌহার্দ্য জলদাস ও পিতা বৃদ্ধ হরিভক্ত জলদাস জানান ছেলেটা দূঘর্টনায় স্ত্রীসহ মারা গেছে। বর্তমানে তার রেখে যাওয়া ৫ শিশু সন্তান ও ৪ মেয়ে সন্তানসহ ২য় স্ত্রীকে লালন-পালন করা খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে। গাড়ির ড্রাইভার ও কোম্পানী এককালীন অনুদান দেওয়ার কথা থাকলেও এখন কোন ধরনের খবরা-খবর নিচ্ছে না। তাদের ক্ষুধার যন্ত্রনা আর কান্নাকাটিতে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না। আমরা এই ব্যাপারে সর্বস্তরের মানুষের আন্তরিক সহায়তা কামনা করছি। উল্লেখ্য গত ১মে সকাল ৯টারদিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রাবেতা হাসপাতালের সম্মুখ সড়কে চকরিয়া হতে বউ নিয়ে ফেরার পথে স্পেশাল সার্ভিস বাস (কক্সবাজার-জ-১১-০০৭৬) আকস্মিক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দূঘর্টনার কবলে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে হ্নীলা জালিয়াপাড়ার হরিপদ জলদাসের পুত্র কবিন জলদাস (৩৬) ও তার ১ম স্ত্রী উত্তমী জলদাস (২৮) নিহত হয়। এছাড়া পরবাসী জলদাস,মানিক জলদাস,ডিপজল জলদাস,মিতা জলদাস,জেকি জলদাস গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনার পর গাড়ির চালক ও মালিক নিহতদের পরিবারকে এককালীন সহায়তার আশ্বাস দেয়। কিন্তু এখন চরম দুঃসময়ে দেখা না পাওয়ায় চরম দৈন্য দশার মধ্যে রয়েছে। তারা এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক ও ত্বড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।