নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকায় চুরি হওয়া সুপারী উদ্ধারে সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা পণ্যবাহী ট্রাকের মালামাল চুরি চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। এসময় পঞ্চাশ লক্ষ টাকার সুপারি ও ১টি ট্রাক(ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৯৬৭০) উদ্ধার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার ১৫ জুলাই রাতে সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃত আসামীরা হলেন, সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানাধীন নিজপাট, চুনাহাটি, ফয়সালের বাড়ির নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ ফয়সাল আহমদ(২৭) ও একই এয়াকার মৃত হাজী মোহাম্মদ আলীর ছেলে আজিজুল হক(৫২) এবং সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানাধীন মাস্তিংহাটি, আজিজুল হকের বাড়ির আজিজুল হকের ছেলে লোকমান হোসেন প্রকাশ টুটুল (২৩)।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আটককৃত আসামীরা ০৮ জুলাই কোতোয়ালী থানাধীন খাতুনগঞ্জস্থ মদিনা হোটেল এন্ড রেস্তোরা এর সামনে থেকে ২নং আসামীর মালিকানাধীন বর্ণিত ট্রাকটিতে ২০০ বস্তা শুকনা আমদানীকৃত সুপারি সিলেট কাজী বাজারে পৌছে দেওয়ার জন্য ২০,০০০ টাকায় ভাড়া করে। সেই মোতাবেক ট্রাক যোগে ২০০ বস্তা শুকনা সুপারি লোড করে সিলেট কাজী বাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে দেয়। কিন্তু পরদিন রাত অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার পরেও মালামাল গুলো দোকানে না পৌছার কারনে ১নং আসামীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজিঁ করে বর্ণিত ট্রাকটি কুলাউড়া থানা এলাকায় ট্রাকটি পাওয়া গেলেও ট্রাকটিতে ২০০ বস্তা শুকনা সুপারি পাওয়া যায়নি। পরে আসামীরা বিশ্বাস ভঙ্গ করে উপরোক্ত মালামাল আত্মসাৎ করায় আব্দুল ওহাব লিটন (৪৬) কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন জানান, ২০০ বস্তা সুপারী চুরির ঘটনায় একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৬২ বস্তা সুপারি উদ্ধার করা হয়। পরে আসামীদের দেয়া তথ্য মতে কানাইঘাট থানাধীন ৬নং সদর ইউনিয়ন এর বীরদল কালুমোড়স্থ বিছমিল্লাহ পোল্টি ফার্মের পাশে শাহীন এবং সামছুলের যৌথ ভাড়া গোডাউন থেকে বাকী ৩৮ বস্তা চোরাইকৃত সুপারি উদ্ধার করা হয়। অভিযানে ২০ বস্তা শুকনা সুপারিসহ সর্বমোট ৫০ লক্ষ টাকার ১৮২.৫ বস্তা শুকনা সুপারি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আটককৃত আসামীদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তাদের আত্মসাৎকৃত পণ্যবাহী ট্রাকের মালামাল সিদ্দিক, শাহিন, সামছুল এবং দুলাল চার জনেই নিয়ে নিজেদের কাছে রাখে এবং ২/১ দিনের মধ্যে ভারতে পাচার করে দেয়। তারা প্রায় সময় এই ধরনের চুরি করা মালামাল ক্রয় বিক্রয় করে থাকে। আটক কৃত ও পলাতক আসামীরা ইতিপূর্বেও এই ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় বেশ কয়েকবার জেল খেটেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।