২০ এপ্রিল, ২০২৫ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২১ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

পরিবেশ ও মানবাধিকার এখন পরীক্ষাকেন্দ্রে !

received_1818379458420287
পরিবেশ ও মানবাধিকার এখন পরীক্ষাকেন্দ্রে। এমনটিই ঘটেছে কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে। সদ্য শুরু হওয়া জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার প্রথমদিনে (মঙ্গলবার) তথাকথিত পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ধারী কয়েকজন ব্যক্তি ঈদগাঁও’র বিভিন্ন কেন্দ্র “পরিদর্শন” করেছেন। আর এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে পরীক্ষার্থী এবং অবিভাবকদের মধ্যে। ছাত্র-ছাত্রীরা জানান, পরীক্ষা শুরুর একঘন্টা পর কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সাথে তিনজন তথাকথিত “পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মী” কোমরে ও গলায় একাধিক কার্ড ঝুলিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেন। বিভিন্ন কক্ষে ঘুরে ঘুরে তারা প্রশ্ন কেমন হয়েছে, কোন সমস্যা আছে কিনা, কমন পড়েছে কিনা, ইত্যাদি জিজ্ঞেস করেন। এরপর কেন্দ্রসচিবের অফিসে বৈঠকও করেন তারা। জেএসসি পরিক্ষার্থী জেরিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পরীক্ষার সীমিত সময়ের মধ্যে প্রশ্নােত্তর লিখতেই ব্যস্ততার শেষ থাকেনা, এর মধ্যে আবার এসব প্যাঁচাল কেন ? “পরিদর্শন” করার সময় পরীক্ষাকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে তারা নায়কোচিত বিভিন্ন ভঙ্গিতে পোজ দিয়ে ছবিও তুলেন বলে জানান পরিক্ষার্থী জসিম। এসব ছবি আবার স্যোশাল মিডিয়ায় আপলোড করে পরিদর্শনের কথা প্রচারও করেছেন কথিত “পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মী”রা। এসব কর্মকান্ডের ফলে পরীক্ষাকেন্দ্রের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক। “পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মী”দের কেন্দ্র পরিদর্শনের কথা স্বীকার করে ঈদগাঁহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও কেন্দ্রসচিব খুরশিদুল জান্নাত বলেন, “জাতীয় পরিবেশ ও মানবাধিকার সোসাইটি”র কর্মকর্তা পরিচয়ধারী কয়েকজন প্রতি পাবলিক পরীক্ষার সময় “কেন্দ্র পরিদর্শন” করেন। এরা প্রতিবছর আসে বলেও জানান তিনি। উপরোক্ত ব্যাপারে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহীনুর ইসলাম বলেন, কোন মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীদের পাবলিক পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের নিয়ম নেই। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা গ্রহনের ব্যাপারে ঈদগাঁওতে দায়িত্বরত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পি এম ইমরুল কায়েস’র সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে ব্যবস্হা নেয়া হবে বলে জানান ইউএনও। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ঈদগাঁওর অনেকে জানান, ভূঁইফোড় ও প্যাডসর্বস্ব বিভিন্ন তথাকথিত মানবাধিকার সংস্হার “কার্ড” গলায় ঝুলিয়ে পাইকারী ধান্ধাবাজীতে নেমেছে একশ্রেনীর বেকার-বখাটে যুবক। এখন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দালালী, মাদক ব্যাবসা, ভূমিদস্যুতা ও চাঁদাবাজীসহ রকমারী অপকর্মের লাইসেন্স টাকায় কেনা তথাকথিত মানবাধিকার সংস্হার কার্ড। গলায় কার্ড ঝুলিয়ে প্রতিদিন ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বিভিন্ন বিচার-তদন্তে প্রভাব খাটাতে চেষ্টা করে তারা। “মানবাধিকার ও পরিবেশ ধান্ধা” এ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকলে সমস্যা ছিলনা কিন্তু এখন পাবলিক পরীক্ষা কেন্দ্রে বিস্তৃত হলে চিন্তা ও উদ্বেগের বিষয়, এমনটাই অভিমত বৃহত্তর ঈদগাঁওর সচেতন মহলের।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।