সন্ধ্যা সাতটা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর শব্দশৈলীর স্টলের সামনে তরুণ-তরুণীদের উপচে পড়া ভীড়। স্টলের ভেতরে বসে আছেন একজন তরুণ লেখক। তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে আছেন আরও দু`জন স্মার্ট যুবক। একজন স্টল থেকে একটি একটি করে বই নামিয়ে লেখকের হাতে তুলে দিচ্ছেন। লেখক ক্রেতার নাম জেনে নিয়ে বইয়ের মলাট উল্টে শুভেচ্ছাসহ অটোগ্রাফ লিখে চলেছেন। ক্রেতাদের লম্বা লাইনের বাইরেও উৎসুক মানুষ একবার লেখকের দেয়া আরেকবার স্টলের ভেতরে টানিয়ে রাখা ফটোগ্রাফের সঙ্গে মিলিয়ে নিচ্ছেন।
কৌতুহলবশত এগিয়ে একটু খেয়াল করতেই দেখা গেল লেখক আর কেউ নন, তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। অমর একুশের বইমেলায় মাত্র চারদিন আগে তার লেখা ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস’ নামক বইটি প্রকাশ হয়েছে।
স্টলের বিক্রেতারা জানান, গত চারদিনে শুধু মাত্র শব্দশৈলীর স্টল থেকেই সাত হাজারসহ সোহাগের লেখা বইয়ের প্রায় ৩৫ হাজার কপি বিক্রি হয়েছে।
স্টলের আশপাশে লম্বা লাইনে অটোগ্রাফসহ বইয়ের ক্রেতাদের অধিকাংশ বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে তাদের সংগঠনের সভাপতির লেখা বইটি ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে একেকজন ৪০ থেকে ৫০ কপি বই কিনছেন।
কিছুক্ষণ স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে দেখা যায়, ছাত্রলীগের সবচেয়ে বড় পদধারী সাইফুর রহমান সোহাগ অটোগ্রাফ দিতে দিতে ক্লান্ত হলেও কাউকেই ফেরাচ্ছেন না। হাসিমুখে নাম জিজ্ঞাসা করে একের পর এক অটোগ্রাফ দিয়ে যাচ্ছেন।
নিজের লেখা বই কেমন কাটতি ও তার অনুভূতি জানতে চাইলে সোহাগ জানান, বইটি এতোটা সাড়া জাগাবে তা আগে ভাবেননি। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মন্ত্রী, সাংসদ ও আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা বইটি দুই-চার-পাঁচশ কপি করে সংগ্রহ করছেন।
বইটির কাটতি ভালো হওয়ায় তিনি খুশি উল্লেখ করে সকল পাঠকদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান ছাত্রলীগ সভাপতি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।