পাকিস্তানে এক বিচারকের বাড়িতে ১০ বছর বয়সের মেয়ে গৃহকর্মীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
শিশুটিকে পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
তারা বলছেন, মেয়েটির হাতে এবং পায়ে পোড়া দাগ দেখা গেছে।
পুলিশ বলছে, মেয়েটি ইসলামাবাদের একজন বিচারক রাজা খুররম আলী খানের বাসায় গত দুবছর যাবত কাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে মি. খান কোন মন্তব্য করেননি।
এঘটনায় পাকিস্তানে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মানবাধিকার গোষ্ঠিগুলো বলছে, পাকিস্তানের শ্রম আইনে শিশু নির্যাতনের বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে। সেখানকার অনেক শিশুই খুব অল্প বয়স থেকে রাস্তায় অথবা মধ্যবিত্ত বাড়িতে কাজ করে।
পাকিস্তানে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ শিশু শ্রমিক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়, যাদের অনেকেই কঠিন কিংবা বিপদজনক পরিবেশে কাজ করছে।
গৃহকর্মী শিশুটির ওপর নির্যাতনের ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গতমাসে। সামাজিক মাধ্যমে শিশুটির শরীরের নির্যাতনের চিহ্নসহ ছবি পোস্ট করা হয়।
এরপর ঘটনাটি দেশটির মূলধারার গণমাধ্যমে আসে- যেখানে তখন বলা হয় যে মেয়েটি নিখোঁজ রয়েছে।
গত রোববার ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে মেয়েটিকে খুঁজে পায় পুলিশ এবং তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হয়।
মেয়েটির আঘাতের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন বুধবার সুপ্রিম কোর্টে জমা দেবার কথা রয়েছে। বিবিসি
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।