কুতুবদিয়ায় প্রায় ২০ কোটি টাকার দ্বীপ-প্রতিরক্ষাবাঁধের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে ন্যুনতম বাঁধ না থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে আরো ৫ ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষ। এ অবস্থায় জনবসতি ও চাষাবাদ রক্ষায় জরুরী বাঁধের (আর্থওয়ার্কের) ব্যবস্থা না করলে আসন্ন বর্ষায়ও কালনাগিনী বঙ্গোপসাগরের খর¯্রােত জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যেতে পারে সাগরদ্বীপ-কুতুবদিয়া।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ৪ পয়েন্টে প্রায় ২০ কোটি টাকার নির্মাণাধীন কাজ সমূহ হচ্ছে আলীআকবর ডেইল বায়ুবিদ্যুতের দক্ষিণে তাবালেরচর পর্যন্ত মাটিরবাঁধে সিসিব্লক প্রতিস্থাপন,উত্তর ধূরুংয়ের কাইছারপাড়া, বড়ঘোপের মুরালিয়া এলাকায় মাটির বাঁধে বালিভর্তি জিওবেগ বসানোসহ আগের বছরে বসানো সিসিব্লকের বাঁধে জোয়ারের পানির ওভারফ্লু ঠেকাতে বাঁধের ওপর একসারি করে পুন: সিসিব্লক প্রতিস্থাপন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক আবদুল বাতেন, প্রধান প্রকৌশলী মোজাফ্ফর আহমদ,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ তোফাইল, নির্বাহী প্রকৌশলী সাবিবুর রহমানসহ একদল উর্ধতন কর্মকর্তা শনিবার আকষ্মিকভাবে ওসব নির্মাণকাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করলেও মিডিয়ার কোন লোক ও জন প্রতিনিধির অনুপস্থিতির কারণে কাজের কোয়ালিটি সম্পর্কে তাদের কোন মন্তব্য জানা যায়নি। কর্তাব্যক্তিদের মুখোষ উম্মুচিত হওয়ার ভয়ে প্রায় সময় গোপনে পরিদর্শন করা হয় বলে দায়িত্বশীল মহল অভিযোগ করেন। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কর্মকর্তাদের একান্ত অফিসিয়াল ট্যুর হওয়ায় স্থানীয় কাউকে জানানো হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবী করেন।
এদিকে গেল বর্ষার জরুরী আর্থওয়ার্কের প্রায় ৫৫লাখ টাকার কাজ শুস্কমৌসুমে করলেও ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি কারণে পুকুর চুরির অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মোট ৪০বর্গ কি.মি. দ্বীপ-প্রতিরক্ষাবাঁধের আলীআকবর ডেইল ইউনিয়নের প্রায় ১০বর্গ কি.মি. এলাকা ঝুঁকিমুক্ত হলেও বাকী ৫ ইউনিয়ন কৈয়ারবিল, উত্তর ধূরুং, বড়ঘোপ, লেমশীখালী ও দক্ষিণ ধূরুংয়ের প্রায় ৩০ বর্গ কি.মি. এলাকা অরক্ষিত বললে চলে। ওই এলাকায় জোয়ারের ঢুকে নির্মিতবাঁধসহ গোটা দ্বীপ সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যাবার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। দ্বীপবাসির ভাগ্য উন্নয়নের স্বার্থে টেকসই বেড়িবাঁধ ও জাতীয় গ্রিডলাইনের বিদ্যুতের দাবি বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার বলে মনে করেন কুতুবদিয়া তথা দেশের কৃতি সন্তান সূর্যোদয়েরদেশ জাপানের ‘অইতা বিশ্ববিদ্যালয়ের’ গবেষক প্রফেসর ড.শাহজাহান কুতুবী। অনিয়মের কথা অস্বীকার করে কুতুবদিয়া বর্তমানে অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত মন্তব্য করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এ.টি.এম.মাসুদুর রাব্বী ও ‘কক্সবাজার উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল’ ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের প্রজেক্ট ম্যানেজার আবদুর রহিম রব্বানী।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।