রফিক মাহমুদ, উখিয়া : উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নে বিশ্বজুড়ে চলমান প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ও মহামারি থেকে রক্ষা পেতে, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখারর জন্য তিন পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছেন, পালংখালী ইউনিয়নের রহমতেরবিল গ্রামের বাসিন্দা তৈয়ম গোলালেরর পুত্র গুরা মিয়া বিগত ১বছর যাবৎ শারীরিক সমস্যার কারনে ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। তিনি গত ১৬ এপ্রিল স্বপরিবারে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছালে পালংখালি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষথেকে অাগামী ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছেন। তার বাড়িতে লাল পতাকা উত্তোলন করে কোয়ারেন্টাইন স্টিকার লাগানো হয়েছে।
একইয় ভাবে ইউনিয়নের চুরাখোলা গ্রামের বাসিন্দা আলজামিআতুল ইসলামিয়া মদিনাতুল উলুম মাদ্রসার শিক্ষক আশরফ আলীর পুত্র অাফজল হুসাইন কে একই তারিখ হতে অাগামী ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। তার বাড়িতেও লাল পতাকা উত্তোলন ও কোয়ারেন্টাইন স্টিকার লাগানো হয়েছে। তিনি কয়েকদিন পূর্বে নারায়নগঞ্জ থেকে বাড়িতে এসেছে।
এদিকে পশ্চিম পালংখালী গ্রামের বাসিন্দা নুর আলমের পুত্র ফিরোজ কামাল কেও আগামী ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কারন সে রামু থেকে এসেছে। তার বাড়িতে লাল পতাকা উত্তোলন করে কোয়ারেন্টাইন স্টিকার লাগানো হয়েছে।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে তাদের বাড়িতে ১বস্তা চাউল প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজারসহ যাবতীয় দ্রব্যাদি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তাদেরকে হোম কোয়ারাইন্টাইন যথাযথভাবে পালন করার জন্য অনুরোধ করেছি এবং অাশেপাশের লোকজনকে অাতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে নিজ ইউনিয়ন বাঁচাতে রাত জেগে পাহারা দিয়েছেন চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী নিজেই।কারান সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নে গত ১৬ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত এক রোগী সনাক্ত হয়েছে। তাই ঘুমধুম ইউনিয়ন থেকে নিজ ইউনিয়ন পালংখালীতে যাতে কোন লোক হেটে বা গাড়ীতে করে আসতে না পারে সেজন্য রাত জেগে পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।