পাহাড়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমার বান্দরবান আগমন প্রতিহত করার প্রতিবাদে টানা ৭২ ঘন্টা হরতালের আজ বৃস্পতিবার দ্বিতীয় দিন।সকাল থেকে জেলা বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় হরতাল সমর্থরা। বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের সুয়ালক বাজারে সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে এবং বান্দরবান-রাংগামাটি সড়কের বালাঘাটা এলাকায় রাস্তার উপর ছোট-বড় গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তায় ব্যারিকেট সৃষ্টি করে নেতাকর্মীরা। এছাড়াও হরতালের কারণে জেলা শহরের সকল ধরনে যানবাহন চলাচল বন্ধ রযেছে। বান্দরবান-চট্টগ্রাম,কক্সবাজারসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহর থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো যানবাহন। হরতালের সমর্থনে জেলা শহরের সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা। তবে গতকাল বুধবার পাহাড়ী-বাঙ্গীদের মধ্যে সংঘষের জের ধরে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে বান্দরবানে।
এদিকে জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার গতকাল বুধবার বান্দরবানে সফরে আসার পর থেকে এখনো সার্কিট হাউসে অবস্থান করেন। তিনি আগামীকাল শুক্রবার জেলা শহরের ফারুক পাড়া এলাকায় দলীয় কর্মসুচীতে অংশগ্রহন করবেন বলে দলীয় নেতাকর্মীরা জানান।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহম্মেদ জানান,জেলায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।