২০ এপ্রিল, ২০২৫ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২১ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করছে ভূমিদস্যুরা- মানব বন্ধনে কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান

tmp_13194-received_917510888348696-744183383
কক্সবাজার জেলা ব্যাপি পাহাড় কাটা বন্ধ ও প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, র‌্যালি ও সমাবেশ করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ’র কক্সবাজার জেলা শাখা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক র্কাযালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে র‌্যালি করে শহরের গুরুত্বর্পূণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে এ সমাবেশের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠান শেষ হয়।

সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ’র কক্সবাজার জেলার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান মো.শাহাদত হোছাইনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব রানা শর্মার সঞ্চালনায় সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ‘সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান আ.ন.ম মোয়াজ্জেম হোসেন রিয়াদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ‘সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশে’র কক্সবাজার জেলার সহ-সভাপতি এইচ.এম নজরুল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন আবু, জেলা কো-চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন তারেক, জেলা সহ -সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল রিয়াদ ইমন, উখিয়া উপজেলা সাধারন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, সদর উপজেলার সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ চৌধুরী।

এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা সদস্য মোস্তাজাবুর রহমান চৌধুরী, মো.ফারুক, রফিকুল ইসলাম কাজল, তপু বড়–য়া, সাইদুল করিম, রেজাউল করিম, মাহবুবুর রহমান, মো.সোহেল, আবদুল্লাহ নোমান, মো.ফারুক হোসেন, উৎপল বড়–য়া, আরিফুল ইসলাম, মুফিদুল আলম জয়, মোফাজ্জল হোসেন, মো.রুবেল হোসেন, আহমেদ জিগার, ফয়সাল রিয়াদ, সাইফুল ইসলাম, সাহাদত হোসেন, মো.রুবেল, রবিন চক্রবর্তী, রাকিব হাসান, রাব্বি হাসান, শাকিল আহমেদ, শুভ সরকার, আকাশ খন্দকার, এনামুল করিম, মো.রায়হান, মো.সোহাগ, মো.তারেক, মো.রিয়াদ, দাউদ খান, মো.বাবু, সাকিবুর রহমান, জান্নাত নাইম, শরিফুল ইসলাম, আশিকুর রহমান, রানা,জাহেদ, আল ইমরান, রিয়াজুল ইসলাম, আবির, মো.সজিবসহ শতাধিক জেলা , শহর ও সদর উপজেলার নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি বলেন, কক্সবাজার জেলা জুড়ে স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড় কাটা চলছে প্রশাসন ও রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতায়। বিশেষ করে পেকুয়া উপজেলার শীলখালী ইউনিয়ন ও শহরের বিজিবি ক্যাম্পস্থ পল্লানকাটার অবস্থা ভয়াবহ। কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডারকে লুটে খাচ্ছে চিহ্নিত ভূমিদস্যু, বনদস্যু ও পাহাড়খেকোরা। জেলাব্যাপী অবৈধ অর্ধশতাধিক ইট ভাটা ও করাত কল প্রশাসন বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পাহাড় ও সরকারী খাস জমি এবং বনভূমি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ইতোমধ্যে পাহাড় কাটার কারণে কক্সবাজারের সমগ্র এলাকায় সুপেয় পানির সংকট সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে লবনাক্ততা, আয়রন ও আর্সেনিকের প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। পাহাড় কাটা ও পরিবেশ দূষণের নাম মাত্র মামলা হলেও পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশের কি ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতির পরিমান চিহ্নিত করন ও অপরাধীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয় না। পরিবেশ আইনে মামলা হলেও অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। তাই জেলাব্যাপী পাহাড় কাটা হচ্ছে দ্বিগুন উৎসাহে।

বক্তরা বলেন, গত কয়েক দিন আমরা জেলার বিভিন্ন এলাকাতে পাহাড় কাটার স্থান বিশেষ করে পেকুয়া উপজেলার শীলখালী ইউনিয়ন ও কক্সবাজার শহরের বিজিবি ক্যাম্পস্থ পল্লানকাটা এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেছি, কোথাও প্রশাসন বা পরিবেশ অধিদপ্তরের বা বন বিভাগের কোন কার্যক্রম চোঁখে পড়েনি। অতিতে জেলা প্রশাসকরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গেলেও ইদানিং সেই সংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়েছে। তাই পাহাড় কাটা বন্ধ হচ্ছে না। তাই অবিলম্বে চিহ্নিত পাহাড় কর্তনকারী ভূমিদস্যুদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান বক্তারা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।